Thursday 11 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, তার সম্পর্কে প্রচলিত মিথ ও ফ্যাক্ট


২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:২৭ | আপডেট: ৫ অক্টোবর ২০১৯ ১১:৫৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ওয়াশিংটনের লিংকন মেমোরিয়ালে সমাবেত আড়াই লাখ মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে যিনি বললেন, ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’, তিনি জুনিয়র মার্টিন লুথার কিং। তারপর থেকেই ওই বাক্যটি ইতিহাসের অংশ হয়ে হয়ে গেলো।

১৯৬৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরে মার্টিন লুথার কিংয়ের দেওয়া ওই ভাষণ আমেরিকার সিভিল রাইটের আন্দোলনকে পথ দেখিয়েছিল। এই ভাষণের পর আন্দোলনকারীরা কংগ্রেসের উপর চাপ তৈরি করতে সক্ষম হয়, যার ফলে সিভিল রাইট অধ্যাদেশ পাস করে তারা।

ওয়াশিংটন মার্চ সে সময়ে সবচেয়ে বৈপ্লবিক একটি পদক্ষেপ ছিল। সারা আমেরিকা থেকে লোকজন এসে জড়ো হয়েছিল ওয়াশিংটনে। রবার্ট অ্যাভেরি নামের ১৫ বছরের একজন বালক সে সময় সবার নজর কেড়েছিল। যে অ্যালাবামা থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার হিচহাইকিং করে ওয়াশিংটনে এসে পৌছেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সে সময়কার তারকারাও পিছিয়ে ছিলেন না, যোগ দিয়েছিলেন মার্চে। অভিনেতা ও গায়ক হ্যারি বেলাফন্টে নামের সব তারকাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন মার্চে আসতে। এছাড়াও তিনি হলিউডের স্টুডিওগুলোকে মার্চের ব্যাপারে ইতিবাচক রাখার জন্য কাজ করেছিলেন।

তারকাদের উপস্থিতির কারণে মিডিয়া মার্চের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এছাড়াও তারকাদের উপস্থিতিতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি মার্চের ব্যাপারে তার মনোভাবও পাল্টে ফেলেন।

এমনকি বর্তমান পৃথিবীতেও ৫০ বছর আগেকার সেই ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ ভাষণ এবং মার্চ টু ওয়াশিংটন যথেষ্টই প্রাসঙ্গিক।
১৯৯৯ সালে বিশেষজ্ঞদের একটি দল মার্টিন লুথার কিংয়ের ওই ভাষণকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এমনকি ১৯৬১ সালের জন এফ কেনেডির অভিষেক ভাষণকেও পিছনে ফেলেছে মার্টিন লুথার কিংয়ের এই ভাষণ।

সে সময় মার্টিন লুথার কিংয়ের ব্যাপারে অনেক মিথ এবং চমকে দেওয়ার মতো ব্যাপার প্রথমে আমেরিকায় পরে সারা পৃথিবী ব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে। সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসরনে সেই মিথ এবং ফ্যাক্টগুলো সম্পর্কে চলুন জেনে আসা যাক।

মিথ ১

প্রচলিত আছে জীবনে মার্টিন লুথার কিং অনেক বেশি মৌলবাদি হয়ে ওঠেন। তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেন এবং দারিদ্র বিমোচন নিয়ে কথা তোলেন। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, সবার কাছে মার্টিন লুথার কিং হিসেবে পরিচিত হওয়ার আগে তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশী মৌলবাদি। পরে তিনি জনগণের সাথে মিলে কাজ কিওরার স্বার্থে তার চরিত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনেন।
মার্টিন লুথার কিং সম্পর্কে আরও প্রচলিত আছে, সিভিল রাইট আন্দোলনের পর তিনি যখন আবার দরিদ্র মানুষকে নিয়ে আন্দোলন করতে যান। তখন রাস্তা বন্ধ করার জন্য তিনি তাদেরকে শিকল দিয়ে রাস্তার পিলারের সাথে বেঁধে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
কিন্তু গবেষকরা জানিয়েছেন মার্টিন লুথার কিং কখনোই তার ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদি দর্শন থেকে সরে আসেন নি।

মিথ ২

অনেকেই মনে করেন মার্টিন লুথার কিং রিপাবলিকান দলের সদস্য ছিলেন। কিন্তু আসলে তার বাব সিনিয়র মার্টিন লুথার কিং আব্রাহাম লিংকনের আমলে অন্যান্য কৃষ্ণাঙ্গদের সাথে রিপাবলিকান পার্টি করলেও তিনি রিপাবলিকান দলের সাথে জড়িত ছিলেন না।

মিথ ৩

আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম বক্তব্যের কিছু অংশের সমালোচনা করে অনেকেই বলেছেন, মার্টিন লুথার কিং যে কোন ইতিবাচক উদ্যোগ বিরোধী কিন্তু আসলে তা নয়। মার্টিন লুথার কিং এ ধরনের কোন শব্দ তার ভাষণে ব্যবহারও করেন নি।

মিথ ৪

মার্টিন লুথার কিংয়ের ব্যাপারে প্রচলিত আছে তিনি খুব বদমেজাজী এবং সবসময় খুব সিরিয়াস থাকতেন। কিন্তু মার্টিন লুথার কিংয়ের জীবনী নিয়ে গবেষণা করেছেন এমন একজন দাবি করেছেন, সিভিল রাইট আন্দোলনের কৌতুকাভিনেতা ছিলেন মার্টিন লুথার কিং।

এবার লুথার কিং সম্পর্কিত কিছু ফ্যাক্ট।

ফ্যাক্ট ১

মার্টিন লুথার কিংয়ের আসল নাম মাইকেল লুথার কিং। এবং জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সোমবার কেন্দ্রীয়ভাবে তার জন্মদিন পালন করা হলেও তার আসল জন্মতারিখ জানুয়ারি ১৫।

ফ্যাক্ট ২

তিনিই প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান হিসেবে টাইম সাময়ীকির ম্যান অব দ্য ইয়ার খেতাব অর্জন করেছিলেন ১৯৬৩ সালে।

ফ্যাক্ট ৩

১৯৬৪ সালে ৩৫ বছর বয়সে তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।

ফ্যাক্ট ৪

তার উপর একাধিকবার ঘাতকের হামলা হয়েছে। হিস্টরিডটকমের মতে, তার উপর প্রথম বোমা হামলা হয় ১৯৫৬ সালে তখন তিনি একটি সমাবেশে

বিজ্ঞাপন

উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে
১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:২৭

আরো