আজ ১৪ ডিসেম্বর। ক্যালেন্ডারের পাতায় দিনটি সাধারণ মনে হলেও, বিশ্বজুড়ে আজ একদল মানুষ মেতে উঠেছে একেবারেই ভিন্ন আনন্দে। কারণ আজ বিশ্ব বানর দিবস (Monkey Day)— একটি মজার, কৌতুকপূর্ণ অথচ ভাবনার খোরাক জোগানো দিবস।
দিবসটির জন্ম যেভাবে
২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে একদল শিক্ষার্থীর ঠাট্টা-মশকরার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল বানর দিবসের যাত্রা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে এটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। এখন এটি আর নিছক হাসির বিষয় নয়; বরং প্রাইমেট প্রাণী সম্পর্কে সচেতনতার এক ভিন্নধর্মী আয়োজন।
বানরের কাণ্ডে আনন্দ
বানরের নাম শুনলেই চোখে ভাসে লাফালাফি, মুখভঙ্গি আর অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা। আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়া ভরে যায় বানরের ছবি, ভিডিও ও মিমে। কেউ বানরের মতো সেজে ছবি তোলে, কেউ আবার প্রিয় বানরের গল্প শেয়ার করে—সব মিলিয়ে একরাশ হাসি।
হাসির আড়ালে গুরুতর বার্তা
মজার এই দিবসের আড়ালেই লুকিয়ে আছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। বন উজাড়, অবৈধ শিকার ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের বহু প্রজাতির বানর আজ বিলুপ্তির মুখে। বানর দিবস তাই মনে করিয়ে দেয়—এই প্রাণীদের রক্ষা করা শুধু পরিবেশের জন্য নয়, মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্যও জরুরি।
মানুষের সবচেয়ে কাছের আত্মীয়
বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের সঙ্গে বানরের জিনগত মিল প্রায় ৯৮ শতাংশ। আচরণ, আবেগ প্রকাশ কিংবা সামাজিক বন্ধনে—অনেক ক্ষেত্রেই বানরের সঙ্গে মানুষের মিল চোখে পড়ে। হয়তো এ কারণেই বানরের কাণ্ড আমাদের এত আপন লাগে।
উদযাপন হোক সচেতনতার সাথে
বিশ্ব বানর দিবস মানেই শুধু হাসি-ঠাট্টা নয়। আজকের দিনে প্রতিজ্ঞা হোক—প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীর প্রতি আরও দায়িত্বশীল হওয়ার। কারণ মানুষের মতো বানরও এই পৃথিবীরই বাসিন্দা।
একটু হাসি, একটু ভাবনা— এই হোক বিশ্ব বানর দিবসের বার্তা।