শীত নামলেই আমাদের চারপাশে যেন এক অদৃশ্য তালিকা তৈরি হয়— শাল, সোয়েটার, গরম ভাপা পিঠা আর… এক কাপ গরম কোকো। ঠিক এই অনুভূতিকেই উদযাপন করতে আজ, ১৩ ডিসেম্বর, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে অনানুষ্ঠানিক কিন্তু দারুণ মজার কোকো দিবস।
কোকো শুধু একটি পানীয় নয়, অনেকের কাছে এটি শীতের নীরব সঙ্গী। ব্যস্ত দিনের শেষে বারান্দায় দাঁড়িয়ে, অথবা জানালার পাশে বসে বইয়ের পাতায় ডুবে থাকতে থাকতে এক কাপ গরম কোকো— এই ছোট মুহূর্তগুলোই তো জীবনের বড় সুখ।
চকলেটের এই তরল রূপের ইতিহাসও বেশ পুরোনো। মধ্য আমেরিকার প্রাচীন সভ্যতায় কোকো ছিল রাজকীয় পানীয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার স্বাদ বদলেছে, বদলেছে প্রস্তুত প্রণালি— কিন্তু উষ্ণতা আর স্বস্তির অনুভূতি একই থেকে গেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী।
আজকের দিনে কোকো মানেই শুধু ক্লাসিক হট চকলেট নয়। কেউ দুধে, কেউ ডার্ক চকলেটে, কেউ আবার মার্শম্যালো ভাসিয়ে নিজের মতো করে কোকো উপভোগ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যাবে— মগ ভর্তি কোকো, পাশে বই, জানালার বাইরে শীতল বিকেল। যেন সবাই একই ভাষায় বলছে— ‘এই মুহূর্তটা আমার।’
কোকো দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সুখ মানেই বড় কিছু নয়। কখনো কখনো তা লুকিয়ে থাকে এক কাপ গরম পানীয়ের ভেতর, দুই হাত দিয়ে মগ ধরে রাখার উষ্ণতায়।
তাই আজ যদি শীত একটু বেশি লাগে, ব্যস্ততা একটু ভারী মনে হয়—তাহলে নিজেকে এক কাপ কোকো উপহার দিন। কারণ শীতের এই দিনে, কোকোর চেয়ে ভালো সঙ্গী আর কে হতে পারে?