Sunday 07 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজকীয় নোংরা জীবনের কিছু ইতিহাস

ফারহানা নীলা স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৭ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:২৭

প্রাচীন রাজপ্রাসাদ মানেই গর্জন করা দালান, ঝলমলে অলঙ্কার এবং বিশাল দরবার। কিন্তু সেই রাজকীয় দ্যুতি-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল এক অপ্রত্যাশিত বাস্তবতা— দূর্গন্ধ! রান্নাঘর, দরজা, সিঁড়ি— প্রায় সব জায়গায় ছড়িয়ে থাকত মল-মূত্র। এমনকি রাশিয়ার ক্যাথরিন দ্য গ্রেটের প্রাসাদটি ছিল দুর্গন্ধের এক পূর্ণাঙ্গ উদাহরণ।

রান্নাঘরের রহস্য

ক্যাথরিনের রান্নাঘরে হাড়ি-পাতিল নোংরা আর পোকামাকড়ের রাজত্ব ছিল। সেই সময়কার রান্নাঘর সম্পর্কে ভাবলে আজও নাকে লেগে যায়! রান্নাঘরের ঝকঝকে অলঙ্কার নয়, বরং গন্ধময় নোংরার গল্প শুনতে বেশি আকর্ষণীয়।

দুর্গন্ধময় পোশাক

চতুর্থ লুইয়ের ঝলমলে পোশাক যেমন চোখে লাগে, তেমনই নোংরা ছিল। এই রাজকীয় পোশাকগুলো কখনো ধোয়া হতো না। শ্বাস নিতে হতো দুর্গন্ধের সঙ্গে! নারীরা তখন চুল পরিষ্কার করতেন অ্যালকালাইনের মিশ্রণ দিয়ে— সাবান বা পানি ছোঁয়া যেন নিষিদ্ধ।

বিজ্ঞাপন

অদ্ভুত অভ্যাস

ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় চার্লসের ঘরও কম বিয়োগান্তকর ছিল না। বিছানায় পোষ্যদের সঙ্গে ঘুমানো, ঘর আর পোশাক দুর্গন্ধময়— এমনকি গোসল করা ছিল বিরল ব্যাপার। রাজকীয় জীবন এখানে আরামদায়ক নয়, বরং কৌতুকপূর্ণ ও নোংরা অভ্যাসের মিশ্রণ।

রাস্তার কাকের উপদ্রব

রাজপ্রাসাদই নয়, রাস্তা-ঘাটও নিরাপদ নয়। বিভিন্ন বর্জ্য, ফেলে দেওয়া খাবার ও পশুর বর্জ্যে সয়লাব। আর কাকেরা তো সেই সুযোগ হাতছাড়া করে না—রাস্তা ঘাট মুখরিত করে রাখে। হেনরির লোকদের দিন কাটত এই নোংরা পরিষ্কার করতে, যা করাও সহজ ছিল না।

লুভরের নোংরা ইতিহাস

১৬৭৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্যারিসের লুভর প্রাসাদে সিঁড়ি, দরজার পিছনে— প্রায় সর্বত্র মল-মূত্র ছড়িয়ে। রাজকীয় ভক্তির সঙ্গে যুক্ত এই ‘গন্ধময় ইতিহাস’ আজ আমাদের জন্য হাস্যরসের উৎস।

নোংরা রাজকীয় জীবন: মজার সত্য

রাজপ্রাসাদ মানেই শুধুই সোনার ঝলকানি নয়। প্রকৃত অভিজ্ঞতা ছিল দুর্গন্ধময়, অদ্ভুত এবং কখনও কখনও হিংস্র— কাক আর পোকামাকড়ের সঙ্গে এক চমকপ্রদ মিশ্রণ। এমন রাজকীয় জীবন দেখলে বোঝা যায়, রাজা-রানী হওয়া মানেই সবসময় আড়ম্বর নয়, মাঝে মাঝে হাস্যকর নোংরাও হতে পারে।

সারাবাংলা/এফএন/এএসজি
বিজ্ঞাপন

আরো

ফারহানা নীলা - আরো পড়ুন
সম্পর্কিত খবর