Sunday 07 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নীরব ঘাতক ন্যানোপ্লাস্টিক: জীবনের উৎসমুখে এক অনিবার্য দূষণ

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা)
৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৩৯ | আপডেট: ৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:০২

আপনার কাপের চা থেকে নবজাতকের দুধ পর্যন্ত—কীভাবে এই অদৃশ্য বিষকে রুখবেন? শিল্প থেকে সরকারের নৈতিক দায়িত্বের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ। অদৃশ্য বিষের আগ্রাসন! ন্যানো কণা কোষ ভেদ করে মস্তিষ্কে আঘাত— মুক্তি কী শুধুই প্রযুক্তিতে? আজ আলোচনার বিষয় এগুলো নিয়েই…

প্লাস্টিকের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা, যা আকারগত দিক থেকে ১ ন্যানোমিটার থেকে ১ মাইক্রোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ, আজ মানবসভ্যতার জন্য এক কঠিন এবং নীরব হুমকি। মূলত বড় প্লাস্টিক এবং মাইক্রোপ্লাস্টিকের (যা ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট) ভাঙন থেকেই এই ন্যানোপ্লাস্টিক কণাগুলোর সৃষ্টি। এই অদৃশ্য ঘাতক কণাগুলো এখন আর কেবল পরিবেশের গভীরে সীমাবদ্ধ নেই; বরং এটি মানবদেহের সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থানগুলোতেও স্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মায়ের বুকের দুধ এবং দৈনন্দিন খাদ্যচক্রে এর ব্যাপক বিস্তার এক ভয়াবহ জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি করেছে, যার মোকাবিলায় প্রয়োজন বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সমন্বয়।

বিজ্ঞাপন

১. জনস্বাস্থ্যে মারাত্মক ঝুঁকি: ন্যানোপ্লাস্টিক কী, এর বিস্তার ও ক্ষতিকর প্রভাব

ন্যানোপ্লাস্টিকের ভয়াবহতা এবং এর মানবদেহে বিস্তার এখন স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের প্রধান উদ্বেগের কারণ।

* ধারণার উৎস ও বৃদ্ধি: ন্যানোপ্লাস্টিক নিয়ে বিজ্ঞানীদের ধারণা জোরালো হতে থাকে মূলত ২০১০ সালের দশকের মাঝামাঝি থেকে, যখন প্লাস্টিকের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার প্রভাব নিয়ে ব্যাপক গবেষণা শুরু হয়। ন্যানোপ্লাস্টিক পরিমাপ করা অত্যন্ত কঠিন হলেও, বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন যে পরিবেশে বৃহত্তর আকারের প্লাস্টিক ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে এর পরিমাণও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ন্যানোপ্লাস্টিক তৈরির জন্য পলিথিন (Polyethylene) এককভাবে দায়ী নয়, বরং পলিপ্রোপিলিন (PP), পলিভিনাইল ক্লোরাইড (PVC), পলিস্টাইরিন (PS)-এর মতো প্রায় সমস্ত প্লাস্টিক পলিমারই ক্ষয়ের মাধ্যমে এর সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।

* বিপজ্জনক বিস্তার ও ক্ষতিকর প্রভাব: ন্যানোপ্লাস্টিকই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ। বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এর অতি ক্ষুদ্র আকারের জন্য এটি কোষ প্রাচীর ভেদ করে সরাসরি টিস্যুতে প্রবেশ করতে পারে। এটি রক্ত-মস্তিষ্ক প্রতিবন্ধকতা (Blood-Brain Barrier) অতিক্রম করে মস্তিষ্কের মতো সংবেদনশীল অঙ্গে পৌঁছানোর সক্ষমতা রাখে, যা এটিকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এই কণাগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এবং দীর্ঘমেয়াদী বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে পরিবেশের জৈব-রাসায়নিক ভারসাম্য হারাচ্ছে।

* দুধ ও নবজাতকের ঝুঁকি: আন্তর্জাতিক গবেষণা ইঙ্গিত দেয়, ন্যানোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি মানবদেহের সুরক্ষিত অঙ্গগুলিতেও রয়েছে। সুস্থ মায়েদের ওপর পরিচালিত গবেষণায় ৭৫ শতাংশ বুকের দুধের নমুনাতেই প্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে [১], যার একটি বৃহৎ অংশ ন্যানোপ্লাস্টিক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই কণাগুলোর সঙ্গে যুক্ত বিসফেনল-এ (BPA) এবং ফথ্যালেটস হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।

২. খাদ্যচক্রে ও শিল্পে ন্যানোপ্লাস্টিকের উৎস: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশে ন্যানোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি এখন আর শুধু জলজ পরিবেশে সীমাবদ্ধ নয়; এটি স্থলজ পরিবেশ ও খাদ্যচক্রের প্রতিটি স্তরে প্রবেশ করেছে। এর প্রধান উৎস হলো নাগরিক বর্জ্য এবং তৈরি পোশাক শিল্প।

* ক্ষুদ্র কণার উৎস ও দূষণ: নদীমাতৃক বাংলাদেশে বৃহৎ আকারের প্লাস্টিক বর্জ্য সহজেই ন্যানোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়। স্থানীয় গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, খাবার লবণ, চিনি, এবং মাছের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে [২], যা ন্যানোপ্লাস্টিক দূষণেরও ইঙ্গিত বহন করে। যবিপ্রবি-এর তথ্যমতে, ঢাকার প্রতি গ্রাম ধুলায় গড়ে ১০৬টি প্লাস্টিক কণা উড়ছে।

* পোশাক ও শিল্প খাতের ভূমিকা: দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পোশাক শিল্পও এক নীরব দূষণের উৎস। গবেষণায় দেখা গেছে, সিনথেটিক কাপড় (যেমন পলিয়েস্টার, নাইলন) ধোয়ার ফলে নির্গত মাইক্রোফাইবারগুলো ভেঙে দ্রুত ন্যানোফাইববারে পরিণত হচ্ছে। এছাড়াও, দূষণের প্রধান উৎসগুলো হলো:
* টায়ারের ক্ষয়প্রাপ্ত কণা।
* রংয়ের ক্ষুদ্র কণা।
* প্রসাধনীতে ব্যবহৃত মাইক্রোবিডস।
* গার্মেন্টস কারখানার বর্জ্য জল পরিশোধন (ETP) ব্যবস্থার ব্যর্থতা।

* অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান ও অবস্থান: বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০০৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে শহর এলাকায় মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহার তিন গুণ বেড়ে ৯ কেজিতে দাঁড়িয়েছে [৩]। এই বিপুল ব্যবহার ন্যানোপ্লাস্টিকের উৎসকে আরও উত্তরোত্তর বাড়িয়ে দিচ্ছে। কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজিংয়ের সময় লাখ লাখ ঘনমিটার পলিথিনযুক্ত বালি উত্তোলনের ঘটনা প্রমাণ করে, মূল প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ কতটা ভয়াবহ।

৩. বৈশ্বিক চিত্র এবং অন্যান্য দেশের সমাধান কৌশল

ন্যানোপ্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ ও অঞ্চল এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন নীতি ও প্রযুক্তি গ্রহণ করছে।

* দূষণের বিশ্বব্যাপী ব্যাপ্তি: দূষণের ব্যাপ্তি বোঝাতে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায়ও ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণার অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন [৪], যা প্রমাণ করে ন্যানোপ্লাস্টিক কণা বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে।

* আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত অঞ্চলগুলো প্লাস্টিক দূষণ কমাতে প্রসাধনী ও পরিষ্কারক দ্রব্যে ব্যবহৃত মাইক্রোবিড নিষিদ্ধ করেছে। তারা বর্ধিত উৎপাদক দায়িত্ব (EPR) নীতিও চালু করেছে।

* আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: বিশ্ব এখন একতাবদ্ধ হওয়ার পথে। জাতিসংঘের বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তি (Global Plastic Treaty) আলোচনায় বাংলাদেশও অংশ নিচ্ছে, যা আন্তঃসীমান্ত দূষণ মোকাবিলায় আশা জাগাচ্ছে।

* প্রযুক্তিগত সমাধান: বিশ্বজুড়ে উন্নত আল্ট্রা-ফিল্টারেশন এবং বিশেষ ধরনের ঝিল্লি প্রযুক্তি (Membrane Technology) ব্যবহার করে জল পরিশোধনের চেষ্টা চলছে।

৪. প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, নীতি ও মানবিক ভূমিকা

ন্যানোপ্লাস্টিক দূষণ রোধে প্রযুক্তিগত সমাধান অপরিহার্য হলেও, মানব সমাজের নৈতিক ভূমিকা এখানে মুখ্য।

* প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন (মুক্তি ও হ্রাসকরণ):
* সনাক্তকরণ ও বিশ্লেষণ: এর অস্তিত্ব ও গঠন নিশ্চিত করতে স্পেকট্রোস্কোপি (Spectroscopy) বা ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি-এর মতো সংবেদনশীল বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।

* বিপজ্জনকতা হ্রাস: ন্যানো-এনজাইম বা বিশেষ ব্যাকটেরিয়ার মতো জৈবিক পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা চলছে, যা ন্যানোপ্লাস্টিকের রাসায়নিক বন্ধন দ্রুত ভেঙে দিতে পারে।

* অপসারণ: জল শোধন প্রক্রিয়ায় উন্নত ন্যানো-ফিল্টারেশন প্রযুক্তি স্থাপন এবং নদী ও নর্দমার জন্য প্লাস্টিক শোষক প্রযুক্তির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
* পোশাক কারখানাগুলোতে ন্যানোফাইবার নির্গমন কমাতে ‘ফাইবার ট্র্যাপ’ প্রযুক্তির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।

* প্লাস্টিকের কার্যকর বিকল্প: ন্যানোপ্লাস্টিক তৈরি রোধ করতে হলে এর মূল উৎস অর্থাৎ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। এর বিকল্প হিসেবে কাঁচ, পাট, বাঁশ, মাটির পাত্র, এবং সম্পূর্ণ বায়োডিগ্রেডেবল বা কম্পোস্টেবল পলিমারের মতো পরিবেশবান্ধব উপাদানের ব্যবহারকে জাতীয় ও শিল্পস্তরে উৎসাহিত করা জরুরি।

* নীতি নির্ধারকদের ভাবনা ও পদক্ষেপ: সরকারের টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২০-২০৩০)-এর লক্ষ্য হলো—২০২৬ সালের মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য ৩০ শতাংশ হ্রাস করা। এছাড়াও, প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২৩-এ আবর্তনশীল অর্থনীতি (Circular Economy) প্রতিষ্ঠাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

* বাস্তবায়ন কৌশল ও চ্যালেঞ্জ: নীতিগত সাফল্য আনতে হলে ইপিআর নীতি দ্রুত প্রয়োগ এবং অবৈধ প্লাস্টিক উৎপাদন ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর ও নিয়মিত মনিটরিং ও জরিমানা নিশ্চিত করতে হবে। তবে স্থানীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে সাশ্রয়ী অপসারণ পদ্ধতির উদ্ভাবনে অর্থায়নের পথ এবং সেই রোডম্যাপটি কী, তা নীতি-নির্ধারকদের স্পষ্ট করতে হবে।

৫. স্থানীয় ও নাগরিক উদ্যোগের গুরুত্ব: সমাধানে সম্মিলিত প্রচেষ্টা

এই সমস্যা কেবল নীতি বা প্রযুক্তি দিয়ে পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোগ।

* মানবীয় মুখ্য ভূমিকা: প্লাস্টিক দূষণ রোধে মানুষ হিসেবে আমাদেরই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক (Single-use plastic) বর্জন এবং পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে প্লাস্টিকের ব্যবহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা নৈতিক দায়িত্ব। এটিই ন্যানোপ্লাস্টিক তৈরির মূল উৎসকে বন্ধ করার প্রধান উপায়।

* কমিউনিটি সমাধান: পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বারবার উল্লেখ করছেন যে, প্লাস্টিক দূষণ রোধে স্থানীয় পৌর সংস্থা, এনজিও এবং কমিউনিটি গ্রুপগুলির সম্মিলিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং জনসচেতনতা কার্যক্রমের প্রভাব অনেক।

* গবেষণায় অর্থায়ন: বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা সংস্থাগুলিকে সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নে আরও বেশি জাতীয় গবেষণা প্রকল্প হাতে নিতে হবে, বিশেষ করে ন্যানোপ্লাস্টিকের ঝুঁকি বিশ্লেষণ এবং দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে এর সাশ্রয়ী অপসারণ পদ্ধতির উদ্ভাবনে জোর দিতে হবে।

৬. নৈতিক দায়িত্ব ও সম্মিলিত কর্মের আহ্বান

মাইক্রোপ্লাস্টিক ও ন্যানোপ্লাস্টিক এখন আর ভবিষ্যতের সমস্যা নয়। সময় এসেছে এই নীরব ঘাতককে রুখে দাঁড়ানোর। বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানকে কাজে লাগিয়ে, সরকার, শিল্প এবং জনগণ—সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে, এই সমস্যার নৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হলো, প্লাস্টিক উৎপাদনকারী শিল্প এবং বৃহৎ কর্পোরেশনগুলোর দায়বদ্ধতা। তাদেরকেই টেকসই উপাদান ব্যবহার, পণ্যের জীবনচক্রের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ এবং দূষণমুক্ত প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সর্বাধিক বিনিয়োগ করতে হবে।
আমাদের বর্তমান জীবনযাত্রার ফলস্বরূপ আমরা কার্যত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এমন এক বিষাক্ত উত্তরাধিকার দিয়ে যাচ্ছি, যার মোকাবিলায় তারা শৈশবের শুরু থেকেই স্বাস্থ্যগত ক্ষতির সম্মুখীন হবে—এই নৈতিক প্রশ্নটি আজ সবচেয়ে জরুরি।

এই নীরব ঘাতককে রুখতে, আসুন আমরা ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করি: ‘আজই আপনার প্রতিদিনের প্লাস্টিক ব্যবহার চিহ্নিত করুন এবং একটি বিকল্প বেছে নিন।’

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা কিনলে ডটকম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ই-ক্যাব

সারাবাংলা/এনএল/এএসজি