প্রথম দিনে কত আয় করলো কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’
১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫৮
নানা জটিলতায় আটকে ছিল কঙ্গনা রানাউতের ছবি ‘ইমার্জেন্সি’। অবশেষে শত বাধা পেরিয়ে মুক্তি শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মুক্তি পেল এই ছবি। তবে বক্স অফিসে সেভাবে বড় অঙ্ক ঘরে না তুললেও, বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে কঙ্গনার সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী আয়কৃৎ সিনেমা এটি।
বলিউড মুভি রিভিউজ ডটকম বলছে, মুক্তির প্রথম দিনে ভারতীয় বক্স অফিসে ছবিটি ২.২৫ কোটি রুপির ব্যবসা করেছে। যা গত পাঁচ বছরে কঙ্গনার একক মুক্তি পাওয়া ছবির তুলনায় বেশ ভালো ওপেনিং!
কঙ্গনার আগের ছবি ২০২৩ সালে মুক্তি প্রাপ্ত সর্বেশ মেওয়ারা পরিচালিত অ্যাকশন ফিল্ম ‘তেজস’ বক্স অফিসে উদ্বোধনী দিনে ১.২৫ কোটি রুপি আয় করেছিল। এর আগে ২০২২ সালের অ্যাকশন ছবি ‘ধকড়’ বক্স অফিসে প্রথম দিনে ১.২০ কোটি রুপি, তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতার জীবন অবলম্বনে নির্মিত আরেকটি রাজনৈতিক বায়োপিক ‘থালাইভি’ (২০২১) প্রথম দিনে তামিল, তেলেগু এবং হিন্দি তিনটি ভাষায় মুক্তি পাওয়া সত্ত্বেও খাতা খুলেছিল ১.৪৬ কোটি রুপি দিয়ে।
একই সঙ্গে করোনা লকডাউনের ঠিক আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে কঙ্গনার সবচেয়ে বড় উদ্বোধনটি ছিল স্পোর্টস ড্রামা ‘পাঙ্গা’। অশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারির স্পোর্টস ড্রামাটি ২.৭০ কোটি রুপি আয় করেছিল।
এদিকে ছবিটি প্রচুর সমালোচনা পাচ্ছে। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবির কাহিনী, নির্মাণ কঙ্গনা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাই বেশিরভাগ সমালোচক বলছেন, ইতিহাসকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভঙ্গিতে সাজানোর বার্তা ‘ইমার্জেন্সি’।
১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের যে নিন্দা হয়েছে, তা তো জানা কথা। ঘটনাগুলি দেখালেই যথেষ্ট। কিন্তু তার সঙ্গে কঙ্গনা ইন্দিরার মনের ভিতরে প্রবেশ করে গল্পের ঘুঁটি সাজানোর চেষ্টা করলেন নিজের তরিকায়। আয়নার সামনে দাঁড় করালেন ইন্দিরাকে। নিজেই ইন্দিরার চরিত্রে অভিনয় করেছেন, আর তাঁকে খানিকটা ভীরু, বিভ্রান্ত, বিবেচনাহীন ভাবে তুলে ধরেছেন। তাতে অসুবিধা ছিল না, যদি অভিনয় বলিষ্ঠ হত। অভিনয়ও যেন খানিক দিক্ভ্রান্ত হয়ে পড়ল মাঝেমধ্যে। এত কিছুর পরে তবু কঙ্গনাই থাকলেন নজরে। কারণ, বাকি কোন চরিত্রই গড়ে উঠল না ঋতেশ শাহের করা চিত্রনাট্যে।
পর্দায় দেখা গেল জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে সঞ্জয় গান্ধী, অটলবিহারী বাজপেয়ী, জয়প্রকাশ নারায়ণের মতো ব্যক্তিত্বকে। কিন্তু অভিনয়ের সুযোগ নেই জয়প্রকাশ রূপে অনুপম খের কিংবা অটলবিহারীর চরিত্রে শ্রেয়স তেলপাড়ের মতো অভিনেতারও।
ঋতেশের লেখা সংলাপও দুর্বল। দুর্বল বিভিন্ন চরিত্রের চলন। ফলে ‘ইমার্জেন্সি’-র মতো সময় নিয়ে তৈরি ছবি রয়ে গেল কঙ্গনার ভাবনায় ইন্দিরার অন্তরের যাত্রা হয়ে। কখনও শেক্সপিয়রের লেডি ম্যাকবেথের মতো নিজেকে দেখে আঁতকে উঠলেন ইন্দিরা। আর বাকি সময়ে কথায় কথায় কান্না পেল তার। বড়ই একতরফা গল্প বলে চলল ছবিটি। তার মধ্যে মূল চরিত্রের প্রায় কোন রকম উত্তরণ না ঘটায় একটি সময়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য হয়— দুর্বল ইন্দিরা নাকি দুর্বল গল্পটি?
সারাবাংলা/এজেডএস