Friday 17 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাইফের বাড়িতে যেভাবে ঢুকেছিল হামলাকারী

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:০০

ঘড়িতে তখন রাত ২টা (বুধবার, ১৫ জানুয়ারি গভীর রাত)। মুম্বাইয়ের সাব-আর্বান বান্দ্রার পেন্টহাউসের ১১ তলার ঘরে তখন ঘুমোচ্ছিলেন সাইফ আলি খান। তৈমুর এবং জাহাঙ্গীরের ন্যানি ও পরিচারিকাদের চিৎকারে ঘুম ভাঙে তার। ছেলেদের ঘরের সামনে এসে দেখেন, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলছে তাদের। দ্রুত গিয়ে আততায়ীকে ধরতে গেলে পাল্টা হামলার শিকার হন ছোটে নবাব। একের পর এক ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হন সাইফ। হামলাকারী ততক্ষণে পালিয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাইফকে। মেরুদণ্ডের কাছে গিঁথেছিল আড়াই ইঞ্চির ছুরি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ঠিক কী ভাবে ওই আততায়ী ‘টাইট সিকিওরিটি’ পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল সাইফের অ্যাপার্টমেন্টে?

বিজ্ঞাপন

মুম্বাই পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করছে, ইমার্জেন্সি ফায়ার এগজ়িট দিয়ে অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকেছিল ওই আততায়ী। কারণ ঘটনার দুঘণ্টা আগে পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরায় ওই হামলাকারীর কোনও হদিশ মেলেনি। এমনকী, ওই আবাসনের চত্বরের কোনও সিসিটিভিতেও ধরা পড়েনি সে। তবে ফায়ার এগজ়িটের সিসিটিভিতেই ধরা পড়ে তার গতিবিধি।

উচ্চপদস্থ এক পুলিশ কর্মকর্তা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘ওই আবাসনে দুটি সিঁড়ি রয়েছে। একটি বেসরকারি, যা সাইফ আলি খানের ফ্ল্য়াট পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তবে সেটি দিয়ে ভিতরে প্রবেশের জন্য প্রয়োজন কার্ড অ্যাকসেসের। তবে এই সিঁড়ি ব্যবহার করার কোনও চিহ্ন মেলেনি।’ ওই পুলিশ আধিকারিক আরও জানান, সাইফের উপর হামলা চালানোর পর ওই আততায়ীকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখার চেষ্টা করেন পরিচারিকারা। তবে সেখান থেকেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় সে। পেন্টহাউসের যে ৩টি ফ্লোর মিলিয়ে সাইফ-করিনা তাকেন, সেখানে কোনও সিসিটিভি না থাকায় হতবাক তদন্তকারীরা।

সাইফ-করিনার ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনে হামলাকারী জোর করে ঢুকেছিল, এমন কোনও অকাট্য প্রমাণ এখনও পায়নি পুলিশ। তাই বাড়ির কেউ এই আততায়ীর পূর্ব পরিচিত কি না, সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাড়ির কোনও পরিচারিকা তাকে ভিতরে প্রবেশে সাহায্য করেছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আবাসনের নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত কেউ আততায়ীকে সাহায্য করে থাকতে পারে বলেও প্রাথমিকর তদন্তে অনুমান পুলিশের।

এই ঘটনার পরই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাইফ আলি খানের পড়শি তথা অভিনেত্রী কারিশমা তান্না। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের সকলের চোখ খুলে দিয়েছে। বান্দ্রায় যে অ্যাপার্টমেন্টগুলি রয়েছে, সেগুলির নিরাপত্তা কতটা, তলিয়ে দেখা উচিত। নিরাপত্তারক্ষীদের সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। এই ধরনের ইমার্জেন্সি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে আদৌ প্রস্তুত তারা? দুষ্কৃতীকারী ঢুকে পড়লে পরিবারের সদস্যদের পক্ষে কি সামলানো সম্ভব? ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেল আমাদের এলাকায়।’

বিজ্ঞাপন

ঘটনার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছেন সাইফ-করিনার ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের ন্যানি ইলিয়ামা ফিলিপ। ন্যানি দাবি করেছেন, তৈমুর-জেহ-র ঘরে ঢুকে তাদের বন্দি করার মতলব ছিল ওই ব্যক্তির। ওদের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে এক কোটি টাকা দাবিও করেছিল সে। মুখ খুললেই বিপদ হবে বলে শাসিয়েও ছিল। তৈমুর ও জাহাঙ্গীরের ন্যানি ও বাড়ির পরিচারিকাদের বয়ান শোনার পর পুলিশের অনুমান, পাশের কোনও আবাসন চত্বরের দেওয়াল টপকে সাইফের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল আততায়ী। সাইফের ফ্ল্যাটের ঢোকা-বেরনোর পথ এবং অন্দরমহলের কোথায় কী রয়েছে, সব কিছুর খুঁটিনাটি সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল ছিল সে। আটক সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত তথ্য জানতে চাইছে মুম্বাই পুলিশ।

সারাবাংলা/এজেডএস

যেভাবে হামলা সাইফ আলী খান

বিজ্ঞাপন

আকিফের তোপে রংপুরের আটে আট
১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৪১

অভয়নগরে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৪৫

আরো

সম্পর্কিত খবর