‘সুস্থ একজন মানুষের ভিতরে এতটা অসুখ কীভাবে হলো’
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৪
অঞ্জনাকে শেষ বিদায় জানাতে এফডিসিতে আনায় দুপুর ১টার একটু আগে। সেখানে জানাযার আগে তার সহকর্মীরা তাকে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় জানান। তাকে নিয়ে করেছেন স্মৃতিচারণ।
অঞ্জনার ছেলে নিশাত মনি বলেন, ‘আম্মু সুস্থই ছিলো। জ্বর আসতো, আবার চলে যেত। গত ১৫ দিন আগে বাসায় মেহমান এসেছিল। নিজ হাতে রান্না করে আম্মু তাদের খাইয়েছে। তারপরই অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। সাধারণ জ্বর ভেবে ওষুধ খাচ্ছিল, হাসপাতালে যেতে চাইত না। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই তো সেদিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আইসক্রিম খেতে চেয়েছিল।’
কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মনি। তিনি বলেন, ‘যতদিন বাঁচবো আমার আফসোস হবে, আমি কখনো বুঝতে পারিনি আম্মুর ভেতরে এমন অসুস্থতা ছিল। এমন সুস্থ একজন মানুষের ভেতরে এতটা অসুখ কীভাবে হলো।’
নৃত্য পরিচালক ইউসুফ খান বলেন, ‘গত মাসে বাসায় গিয়ে দেখি আপা অসুস্থ। নিজ হাতে সুপ বানিয়ে আপাকে খাইয়ে এসেছি। বারবার বলেছি আপা তুমি ডাক্তার দেখাও। আপা কথা শোনেনি। গত পরশু হাসপাতালে তাকে দেখে খুব খারাপ লাগছিল। এই অঞ্জনা আপাকে আমি দেখতে চাইনি। আমার মা তাকে বলে গিয়েছিলেন, ইউসুফকে দেখে রেখো। ছোট ভাইয়ের মতো আমাকে আদর করতেন তিনি।’
অঞ্জনাকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে এফডিসিতে হাজির হয়েছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘অঞ্জনা আপার অসুস্থতার খবর আরও একটু আগে জানতে পারলে আমরা হয়তো তাকে আর একটু বেশি সময় দিতে পারতাম। তার মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। তার মিষ্টি হাসি আর কাজ অঞ্জনা আপাকে সবার মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।’
সারাবাংলা/এজেডএস/এএসজি