ঈশ্বরের সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে— বিচ্ছেদে কাতর এ আর রহমান
২০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:২১ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬
প্রায় তিন দশক দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানু। দীর্ঘ ২৯ বছর একসাথে পথচলার এমন সমাপ্তি দেখে হতবাক অনুরাগীরাও। ভারতীয় গণমাধ্যমে সায়রার আইনজীবী বন্দনা শাহ এই দম্পতির বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা জানান। তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেন।

বিয়ের বহু বছর পর স্বামী এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা বানু
সায়রার আইনজীবী বন্দনা শাহর দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, বিয়ের বহু বছর পর স্বামী এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা বানু। তাদের সম্পর্কের মধ্যে মানসিক চাপের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। একে অপরের প্রতি তাদের গভীর ভালবাসা সত্ত্বেও, এই দম্পতি খেয়াল করেছেন তাদের মধ্যে অনেক ব্যবধান, দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা এই মুহুর্তে কোনও পক্ষই পূরণ করতে সক্ষম নয় বলে মনে করছেন তারা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এ আর রহমানের পোস্ট
এ আর রহমানের স্ত্রী সায়রা বানু জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তার পক্ষে মোটেও সহজ ছিল না। অনেক ব্যথা ও যন্ত্রণা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এই কঠিন সময়ে সকলের কাছে গোপনীয়তা রক্ষার এবং তাদেরকে একান্তে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন সায়রা বানু।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ আর রহমান লেখেন, ‘আমরা গ্র্যান্ড ত্রিশে পৌঁছানোর আশা করেছিলাম, কিন্তু মনে হয় সব কিছুরই একটা অদেখা শেষ আছে। এমনকি ভগ্ন হৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে। আমরা ছিন্নভিন্ন তবুও আমরা অর্থ খুঁজি, যদিও এই টুকরোগুলি আর তাদের জায়গা খুঁজে পাবে না। আমাদের বন্ধুদের বলছি, যখন আমরা এই ভঙ্গুর অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনারা যে উদারতার সঙ্গে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।’

প্রায় তিন দশক দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রহমান
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে সায়রা বানুর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন এ আর রহমান। তাদের তিন সন্তান খতিজা, রহিমা ও আমিন। এর আগে সিমি গারেওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ আর রহমান স্বীকার করে নিয়েছিলেন, তার ও স্ত্রী সায়রার মধ্যে বেশকিছু সাংস্কৃতিক মত পার্থক্য রয়েছে। যদিও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তারা বিষয়টি সামলে চলেন বলেও জানিয়েছিলেন রহমান। শিল্পী জানিয়েছিলেন সায়রা বানু তার পছন্দ ছিলেন না। তবে সেসময় তিনিও বিয়ের জন্য মেয়েও খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। অগত্যা তার যখন ২৯ বছর বয়স, তখন সঙ্গীতশিল্পী তার মাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন পাত্রী খুঁজে দেওয়ার জন্য। শেষপর্যন্ত সায়রা বানুর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় রহমানের। সেই বিয়ের ২৯ বছর পর পথচলায় ইতি টানলেন রহমান ও সায়রা।
সারাবাংলা/এএসজি
অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রহমান বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি বিবাহ বিচ্ছেদ