সত্যিই কি ৪০ পেরোলেন রিয়া? (ফটোস্টোরি)
২৪ জানুয়ারি ২০২১ ২০:৪৭ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:৪৫
১৬ বছর বয়সে এই কন্যা যখন গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে পা রাখেন তখন থেকেই শুনে আসছেন তিনি ‘সেক্সি’, ‘বোল্ড’ এবং সেই সঙ্গে ‘যৌনআবেদনময়ী’। তখন এই কথাগুলো শুনতে ভালো লাগলেও পরবর্তীতে তাই যে ট্যাগলাইন হয়ে যাবে তা বুঝতে পারেননি বলিউড অভিনেত্রী রিয়া সেন— যিনি বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের নাতনি, মুনমুন সেনের ছোট কন্যা এবং রাইমা সেনের বোন। অভিনয়ে দিদার মতো জনপ্রিয়তা না পেলেও পোশাকের ব্যাপারে বরাবরই সাহসী এই মেয়েটির আজ জন্মদিন। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী ৪০ পেরিয়ে ৪১-এ পা দিলেন এই গ্ল্যামার গার্ল।
১৯৯৮-তে ফাল্গুণী পাঠকের মিউজিক ভিডিও ‘ইয়াদ পিয়া কি আনে লগি’ দিয়েই যাত্রা শুরু রিয়ার। এর পরের বছরই বড়পর্দায় দেখা যায় তাকে। তামিল রোম্যান্টিক ড্রামা ‘তাজ মহল’ ডিয়েই ডেবিউ হয় রিয়ার। পরিচালক ছিলেন ভারতীরাজা।
এরপর বলিউডে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ করেন তিনি। সুজয় ঘোষের মিউজিক্যাল ড্রামা ‘ঝঙ্কার বিটস’, অজয় দেবগনের ‘কেয়ামত’ বক্স অফিসে সাফল্য দিয়েছিল রিয়াকে।
কিন্তু সাফল্য আসলেও এই সব ‘বোল্ড’ চরিত্র আর চড়া মেকআপে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন। ভীষণ ভাবে চাচ্ছিলেন এই তকমা থেকে বেরিয়ে আসতে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রিয়া বলেন, ‘সিনেমা শুরু করার কিছুদিন পর আমি বুঝতে পারি যে ধরনের চরিত্র আমায় দেওয়া হচ্ছে তার সঙ্গে আমি খাপ খাওয়াতে পারছি না। কিন্তু প্রযোজক, পরিচালকরা আমাকে ওই রকম মেয়ে হিসেবেই দেখছেন। যখন আমি এই ধরনের চরিত্রে আর স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলাম না তখন লোকেরা আমার সঙ্গে কাজ করা কমিয়ে দিল। তারা ভাবতে শুরু করল অভিনেত্রী হিসেবে আমি খারাপ। কিন্তু আমি কোনওদিন তাদেরকে দোষারোপ করিনি। যে জামাকাপড় পরে আমি নিজে স্বস্তি পাই না, যে পোশাকে আমার নিজেকে স্ক্রিনে দেখলে ঘেন্না করে, সেই মেকআপ-পোশাকে কখনও অভিনয় করে যাওয়া সম্ভব নয়।’
এই অভিনেত্রী আরও বললেন, ‘সেক্সি আর বোল্ড শব্দদুটো শুনলে এরপর আমার ভয় লাগতে শুরু করে। সেই স্কুলজীবন থেকে শুনে আসছি। রাস্তায় বেরোলেই লোকে অবাক হয়ে দেখত। ভাবত বুঝি বাস্তবে সিনেমা দেখছে। এমনকী এই সেক্সি তকমাও আমার উপর মানসিক প্রভাব ফেলেছে। সবসময় ঠিক পারফেক্ট দেখতে লাগবে- এভাবে চলা কি সম্ভব! এই মানসিক চাপ থেকেই আমি কীরকম ভয় পেতে শুরু করলাম। আর আমাকেও স্টিরিওটাইপ হিসেবেই কাস্ট করা হত।’
রিয়া সারাদিন ভাবতেন কীভাবে এই দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবেন। এরপরই তিনি বলিউড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ততদিনে টলিউডেও বেশ কিছু ভালো ছবিতে কাজ করে ফেলেছেন তিনি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘নৌকাডুবি’।
কিছুদিন আগে এমএক্স প্লেয়ারের ওয়েব সিরিজ ‘পতি, পত্নী ঔর উও’-তে অভিনয় করেন রিয়া। এমন ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে পেরে খুবই খুশি রিয়া। কাজও করেছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। হিন্দি ছবির দুনিয়া থেকে ওয়েব অনেকটাই আলাদা বলেই মনে করেন রিয়া। খুব বোল্ড, জোর করে যৌনউত্তেজনা তৈরি করতে হয় না। বরং যেটুকু আসে তা স্বাভাবিক! রিয়ার কথায়, ‘দর্শকরাও আর কতদিন এই খুল্লামখুল্লা প্রেম দেখবেন?’
অভিনেত্রী রিয়া সেন বলিউড অভিনেত্রী মুনমুন সেন রাইমা সেন সুচিত্রা সেন সুচিত্রা সেনের নাতনী