Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাংস্কৃতিক উৎসবে আজ ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘ঝান্ডির গান’


১৯ জানুয়ারি ২০২০ ০৯:০০ | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:৩৯

জমজমাট আয়োজনে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০’। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বহুমূখী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবের।

৩ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ দিনের এই উৎসবে প্রতিদিনই থাকছে ৩টি জেলা, ৩টি উপজেলার সাথে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হচ্ছে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এই আয়োজনের ১৭তম দিন। বিকেল ৪টা থেকে নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হবে ফরিদুপুর, নোয়াখালী ও শেরপুর জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাত ৮ টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনির বিনিময়ে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘ঝান্ডির গান’ অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) উৎসবের ১৬তম দিনে একাডেমি প্রাঙ্গণে বিকেলে অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। এদিন বিভিন্ন পরিবেশনায় ছিলেন হবিগঞ্জ, খুলনা, দিনাজপুর ও নেত্রকোনা জেলার শিল্পীরা। জেলার পরিবেশনার আগে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা। এরপর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত উচ্চাঙ্গ সংগীত, একক আবৃত্তি পরিবেশন করে শিল্পী এস এম মহসিন, সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা, গোলাম সারোয়ার এবং মীর বরকত এর পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে কন্ঠশীলন এবং অন্তর দেওয়ান এর পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সিলেট জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও আলকাপ গম্ভীরা মিউজিকের সাথে সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী আকরামুল ইসলাম এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী পংকজ দেব। যন্ত্রে আঞ্চলিক লোকগানের সুর তোলেন শিল্পী প্রতীক এন্দ, নৃপন্দ্র দেব লনু, কৃতি সুন্দর দাস এবং প্রণয় দাস।

বরিশাল জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে জেলার জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী জহুরুল হাসান সোহেল এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মৈত্রী ঘরাই। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী নিক্কন চৌধুরী।

নাটোর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং। এরপর একেএকে পরিবেশিত হয় সমবেত গান ও সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মোঃ ফরিদুল ইসলাম এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মোঃ আব্দুল আওয়াল। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী মোঃ আব্দুল আওয়াল, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মিলন এবং শ্রী বাবুল দাস।

একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিময়ে মঞ্চস্থ হয় কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ‘পালা গান’।

দেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে ২১ দিনব্যাপী একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই শিল্পযজ্ঞ পরিচালিত হবে। ঐহিত্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও সারাদেশের শিল্পীদের বিভিন্ন নান্দনিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২০

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর