বিশ্ব সুন্দরী-২০১৯ জ্যামাইকান টনি-অ্যান সিং
১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:০৩ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:৩৪
মিস ইউনিভার্স জজিবিনি তুনজির পর বিশ্বের সেরা সুন্দরীর মুকুট জিতলেন আরও এক কৃষ্ণাঙ্গ সুন্দরী। ২০১৯ এর বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জিতেছেন জ্যামাইকান টনি-অ্যান সিং। চতুর্থ জ্যামাইকান হিসেবে এই খেতাব অর্জন করেন ২২ বছরের সংগীতশিল্পী টনি।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) লন্ডনের এক্সেলে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার ৬৯-তম আসরে বিজয়ী হন তিনি। টনি-অ্যান সিংয়ের মাথায় বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট পরিয়ে দেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকোর ভানেসা পন্স।
সারাবিশ্বের মোট ১২০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে বিজয়ী হন টনি। প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্স আপ হয়েছেন ফ্রান্সের অফলে মেজিনো এবং দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছেন ভারতের সুমন রতনসিং রাও।
প্রতিযোগীতার সর্বশেষ অর্থাৎ প্রশ্নোত্তর পর্বে পাঁচজনের মধ্যে থেকে সেরা তিনজন বেছে নেওয়া হয়। সেরা পাঁচে পৌঁছানো বাকি দুজন হলেন মিস নাইজেরিয়া নিয়েকাচি ডগলাস এবং মিস ব্রাজিল এলিস কোয়েলহো। এই পর্বের প্রশ্নকর্তা ছিলেন, ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার পিয়েরস মর্গ্যান।
প্রশ্নোত্তর পর্বে মিস জ্যামাইকার কাছে সবার আগে জানতে চাওয়া হয়, তাকে কেন বিশ্ব সুন্দরী নির্বাচিত করা উচিত। তার বিশেষত্ব কী? উত্তরে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে টনি-অ্যান বলেন, ‘আমি মনে করি, আমি বিশেষ কিছুর প্রতিনিধিত্ব করছি। আমি সেই নারীদের প্রতিনিধিত্ব করছি, যারা নিজেরা এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে পৃথিবী বদলাতে ভূমিকা রাখছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলবো না এখানে যারা আছেন, আমি তাদের চেয়ে ভিন্ন। কিন্তু আমি এটা বলবো যে, নারীদের জন্য কাজ করা আমার একধরণের প্যাশন। এবং এই পর্যন্ত আসতে যেসব সুবিধা আমি পেয়েছি, সেই একই সুবিধা অন্য নারীরাও যেন পান সেটা নিশ্চিত করতে চাই, যা আমাকে বাকি সবার চেয়ে আলাদা করেছে।’
এরপর পিয়ার্স তাকে জিজ্ঞাসা করেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণাদায়ী নারী কে? উত্তরে টনি বলেন, ‘আপনি আমাকে এই প্রশ্নের মাধ্যমে কাঁদাবেন।’
কান্না অথবা আবেগ লুকোতে চোখের পাতা নামিয়ে টনি বলেন, ‘আমার জীবনে সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী আমার মা। আমার বাবা-মা যদি মূল হন, আমি তার গাছ। আজকের আমি তাদের পরিশ্রমের ফল। আমি যদি পৃথিবী বদলাতে কিছু করতে পারি তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব যাবে আমার বাবা-মায়ের কাছে।
আজ আমি আপনার সামনে বসতে পেরেছি আমার মায়ের নিজের চাওয়া-পাওয়া ভুলে আমার জন্য ত্যাগ স্বীকারের কারণে’, বলতে বলতে গলা ভেঙে আসে তার।
সঙ্গিতশিল্পী টনি-অ্যান সিংয়ের জন্ম দক্ষিণ-পূর্ব জ্যামাইকার মোর্যান্ট বে তে ১৯৯৬ সালে। তার বাবা-মা দুজনেই জ্যামাইকার বাসিন্দা। মা জাহরিন বেইলি-সিং আফ্রিকান-ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত এবং বাবা ব্রডশ সিং ভারতীয়-ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত। নয় বছর বয়সে টনি আমেরিকার ফ্লোরিডা চলে যান এবং ফ্লোরিডা স্টেট উনিভার্সিটি থেকে ‘উইমেন’স স্টাডিজ এবং সাইকোলজিতে গ্রাজুয়েশন করেন।
৬৯-তম বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার এবারের আসর শুরু হয় ২০ নভেম্বর থেকে। একের অধিক রাউন্ডে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পর ফাইনালে পৌছেন সেরা দশ প্রতিযোগী। এই দশজনের মধ্য থেকে প্রথমে সেরা পাঁচ ও পরে বিশ্ব সুন্দরীসহ দুই রানার্স আপ নির্বাচন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ এর মিস ইউনিভার্স খেতাব জেতেন দক্ষিণ আফ্রিকার জজিবিনি তুনজি।
জ্যামাইকান টনি-অ্যান সিং টনি-অ্যান সিং টপ নিউজ বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা বিশ্ব সুন্দরী-২০১৯