Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘চল্লিশ বছর আগেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া উচিত ছিল’


১২ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:০৬ | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:১৩

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

ব-দ্বীপে নির্বাচনের হাওয়া বেশ জোরেসোরে বইছে। সেই হাওয়ার কিছু অংশ এসে লেগেছে সংস্কৃতি অঙ্গনে। কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এরইমধ্যে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন পছন্দের রাজনৈতিক দলের অফিস থেকে। তাদের মধ্যে বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাইখ্যাত অভিনেতা ফারুক আওয়ামী লীগ থেকে কিনেছেন মনোনয়ন পত্র।

কি কারণে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করলেন? উত্তরে ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার জন্মের পর যখন বুঝতে শুরু করলাম তখন থেকেই আমার নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল। মানুষের জীবনে অনেক ইচ্ছা থাকে। আমারও নির্বাচন করা একটা ইচ্ছা। তাছাড়া আমি প্রত্যক্ষ করেছি যে, আমার এলাকার কোনো উন্নয়ন হয়না। অথচ আমার গাজীপুর-৫ আসন আগে অনেক সুন্দর ছিল। সেই সৌন্দর্য এখন নেই। আমি আমার এলাকাটিকে সুন্দর কর সাজাতে চাই।’

চল্লিশ বছর আগেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি। কি কারণে এতদিন প্রার্থী হননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি স্বাধীনতার আগে থেকে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সে সময় ৩৭টি মামলা হয় আমার বিরুদ্ধে। জীবন বাঁচাতে তখন উপায় না পেয়ে চলচ্চিত্রে আসি। ভাবলাম চলচ্চিত্রে আমি মানুষের কথা বলতে পারব। এই যে, মানুষের কথা বলতে গিয়ে চলচ্চিত্রের মিয়া ভাই হয়ে গেলাম। তারপর আর ছেড়ে আসতে পারিনি।’

বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেই জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করেই কি নির্বাচন করছেন? ফারুক বলেন, ‘একদম না। আমার এলাকার মানুষ অনেকদিন ধরে আমাকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বলে আসছিলেন। এখানকার মানুষ আমাকে নায়ক হিসেবে দেখেনা। কেউ মিয়া ভাই বলেন, কেউ দুলু মিয়া ডাকেন। আবার কেউ কেউ মামা, কাকা বলে সম্বোধন করেন।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সবুজ সংকেত দেবেন, এমনটাই আশা করছেন তিনি। শতভাগ আত্মবিশ্বাসও রয়েছেও তার। ফারুক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার নমিনেশন পাওয়া নিয়ে কোন কথা হয়নি। তবে আমি বলতে পারি যে, তিনি আমাকে নিরাশ করবেন না। আমি তাকে বলব, আমার সামনে যদি পাহাড়ও থাকে তাহলে সেটা কেটে যেন তিনি আমাকে যাওয়ার রাস্তা করে দেন।’

নির্বাচনে প্রার্থী এবং পরবর্তীতে জয়লাভ করেলে মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেলে কোন মন্ত্রাণালয় বেছে নেবেন? স্মিত হেসে ফারুক উত্তর দেন, ‘এগুলো তো পরের ব্যাপার। আগে নির্বাচনে প্রার্থী হই তারপর দেখা যাবে। এসবক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি ঠিক করে দেবেন কোন মন্ত্রণালয়ের জন্য আমি যোগ্য। তারান হালিম হয়েছে দেখে আমাকেও মন্ত্রী বানাতে হবে এমন কথা নেই। তবে তিনি আমাকে যে মন্ত্রণালয়ই দিক না কেনো আমি দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যেতে পারব।’

সারাবাংলা/আরএসও/পিএ

আওয়ামী লীগ নির্বাচন ফারুক মনোনয়ন প্রর্থী