ঝলমলে আলো, রঙিন সার্কাস আর তার মাঝখানে এক রহস্যময় নারীর নীরব উপস্থিতি—এক ঝলকেই দর্শকের কৌতূহল জাগিয়ে তুলেছে কিয়ারা আদভানির নতুন রূপ। দক্ষিণী সুপারস্টার যশ অভিনীত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘টক্সিক: অ্যা ফেয়ারিটেল ফর গ্রোন-আপস’-এ যুক্ত হয়ে যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন বলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
এই ছবিতে কিয়ারা অভিনয় করছেন নাদিয়া নামের এক চরিত্রে—যে শুধু গল্পের অংশ নয়, বরং পুরো আবহকে ঘিরে থাকা এক গভীর অনুভূতির প্রতীক। বাহ্যিকভাবে রঙিন ও আকর্ষণীয় হলেও নাদিয়ার চোখে-মুখে লুকিয়ে আছে এক ধরনের শোক, বিষণ্নতা আর না-বলা গল্প। আর এখানেই কিয়ারার অভিনয়ের নতুন চ্যালেঞ্জ।
সম্প্রতি প্রকাশিত কিয়ারার ফার্স্ট লুক পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তুলেছে। উজ্জ্বল আলোয় সাজানো সার্কাসের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে থাকা কিয়ারা যেন দর্শককে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন এক অজানা জগতে। পোস্টারের রঙিন আবরণ ভেদ করে চোখে পড়ে চরিত্রটির ভেতরের ভাঙাচোরা আবেগ—যা সহজে ধরা দেয় না, কিন্তু অনুভবে থেকে যায় দীর্ঘ সময়।
রোমান্টিক কিংবা বাণিজ্যিক ঘরানার পরিচিত ছক ভেঙে কিয়ারা এবার হাজির হচ্ছেন একেবারেই ভিন্ন মেজাজে। আবেগনির্ভর গল্প থেকে শুরু করে বড় বাজেটের সিনেমা—সব ক্ষেত্রেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। তবে ‘টক্সিক’ যেন তার ক্যারিয়ারের সেই বাঁক, যেখানে অভিনয়ের গভীরতা আর চরিত্রের স্তরবিন্যাস সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে।
ছবিটি পরিচালনা করছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা গীতু মোহানদাস—যার গল্প বলার ধরন বরাবরই আলাদা, সংবেদনশীল এবং সাহসী। যশ ও কিয়ারার পাশাপাশি এতে আরও রয়েছেন নয়নতারা, হুমা কুরেশি ও অক্ষয় ওবেরয়ের মতো শক্তিশালী অভিনেতারা। সব মিলিয়ে ‘টক্সিক’ শুধু একটি সিনেমা নয়, বরং এক আবহের প্রতিশ্রুতি।
চলতি বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওয়্যার ২’-এ কিয়ারাকে দেখা গেলেও, সেখানে তিনি ছিলেন পরিচিত গ্ল্যামারাস ফ্রেমে। কিন্তু ‘টক্সিক’-এ সেই চেনা কিয়ারার আড়ালে উঠে আসছে এক নতুন, রহস্যময় সত্তা—যাকে আবিষ্কার করতে দর্শককেও অপেক্ষা করতে হবে ধৈর্য নিয়ে।
সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়, নাদিয়া চরিত্রটি কিয়ারার ক্যারিয়ারে শুধু আরেকটি সংযোজন নয়; এটি হতে চলেছে তার অভিনয় জীবনের এক রূপান্তরমূলক অধ্যায়—যেখানে রঙের আড়ালে লুকিয়ে থাকবে নীরবতার গল্প।