কিছু সিনেমা আসে, দেখে ভুলে যাই। আর কিছু সিনেমা আসে— যাদের চরিত্রগুলো আমাদের বাসার ড্রয়িংরুমে স্থায়ী ভাড়া নিয়ে বসে পড়ে! ‘জুটোপিয়া টু’ ঠিক তেমনই এক সিনেমা।
মুক্তির মাত্র ১৭ দিনেই ১ বিলিয়ন ডলার—সংখ্যাটা শুধু বিশাল নয়, রীতিমতো কার্টুন-ইতিহাস গড়া। ডিজনির এই অ্যানিমেশন সিক্যুয়েল প্রমাণ করে দিয়েছে, ভালো গল্প হলে বয়স কোনো বিষয়ই না— শিশু থেকে শুরু করে ‘আমি শুধু বাচ্চাদের সঙ্গে দেখতে এসেছি’ বলা বড়রাও সমান মজা পান
নয় বছর পর আবার ফিরে এসেছে আমাদের চেনা জুটি— খরগোশ পুলিশ অফিসার জুডি হপস আর ধূর্ত কিন্তু ভীষণ বুদ্ধিমান শিয়াল নিক ওয়াইল্ড। তবে এবার গল্পে নতুন টুইস্ট। প্রাণীদের শহর জুটোপিয়ায় হাজির হয়েছে এক রহস্যময় সরীসৃপ চরিত্র। কে সে? কী চায়? আর কেন শহরের শান্তি আবারো হুমকির মুখে?— এই প্রশ্নগুলোই দর্শককে শেষ পর্যন্ত আসনে আটকে রাখে।
‘জুটোপিয়া টু’ শুধু রঙিন অ্যানিমেশন আর দৌড়ঝাঁপ নয়। এখানে আছে—
স্মার্ট হিউমার (বাচ্চারা হাসবে, বড়রা বুঝবে ),
বন্ধুত্বের গল্প,
ভিন্নতা মেনে নেওয়ার বার্তা,
আর সমাজকে আয়নায় দেখানোর সাহস,
এই কারণেই সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে অনেকেই বলেন— ‘এটা শুধু কার্টুন না, এটা আমাদের গল্প!’
যুক্তরাষ্ট্রে শুরুটা ছিল ঝড়ের মতো। আন্তর্জাতিক বাজারে আয় করেছে শত শত কোটি ডলার। আর চীনে তো রীতিমতো রেকর্ড ভাঙা উৎসব! বিদেশি ছবির তালিকায় সেখানে এটি এখন অন্যতম সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা। অ্যানিমেশন যে গ্লোবাল ভাষা— ‘জুটোপিয়া টু’ সেটা আবার প্রমাণ করল।
কেন এত সফল? কারণটা খুব সহজ— পরিচিত চরিত্র + নতুন রহস্য, পারিবারিক বিনোদন + বুদ্ধিদীপ্ত গল্প, আর ডিজনির সেই ম্যাজিক, সব মিলিয়ে, ‘জুটোপিয়া টু’ দেখিয়ে দিল— ভালো গল্প হলে পশুরাও সুপারস্টার হতে পারে!