ফুটবল মাঠে গোল করলেই যে মানুষটা আকাশ কাঁপিয়ে ‘সিউ’ উদ্যাপন করেন, সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবার হয়তো সুপারকারের স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে পর্দা কাঁপাবেন। বলছি হলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাকশন ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’–এর কথা। খবরটা ছড়াতেই একসঙ্গে নড়ে উঠেছে ফুটবল আর সিনেমার ফ্যানবেস— এ যেন স্বপ্নের ক্রসওভার।
ইনস্টাগ্রামে ভিন ডিজেলের একটি পোস্টই যথেষ্ট ছিল আগুন ধরাতে। রোনালদোর সঙ্গে থাম্বস আপ দেওয়া ছবির ক্যাপশনে ডিজেলের ঘোষণা— রোনালদোর জন্য আলাদা করে একটি চরিত্র লেখা হয়েছে। ব্যস! কেউ কল্পনা করছেন, ‘সুপারকারের ভেতর থেকেও ‘সিউ’!’, কেউ আবার বলছেন, ‘এটা তো ইতিহাস!’
এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি— রোনালদো কি শুধু ক্যামিও করবেন, নাকি থাকবেন বড় পরিসরের চরিত্রে? ‘ফাস্ট এক্স: পার্ট ২’ মুক্তি পাবে ২০২৭ সালের এপ্রিলে, আর সেটিই হতে পারে সিরিজের শেষ অধ্যায়। শেষ ছবিতে যদি নতুন মুখ আসে, তাহলে রোনালদোর মতো বৈশ্বিক আইকনের উপস্থিতি গল্পে বাড়তি মাত্রা যোগ করবেই।
রোনালদো কেবল একজন ফুটবলার নন; তিনি নিজেই একটি ব্র্যান্ড। মাঠের বাইরেও ব্যবসা, ফ্যাশন, লাইফস্টাইল— সবখানেই তার দাপট। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন অধ্যায়: নিজস্ব ফিল্ম স্টুডিও। সিনেমায় আগ্রহের কথা তিনি আগেও বলেছেন। তাই এই খবরটা হঠাৎ মনে হলেও, ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতিই চলছিল।
‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ মানেই গতি, অ্যাকশন আর স্টান্ট। রোনালদোর ক্যারিশমা, শারীরিক সক্ষমতা আর স্ক্রিন প্রেজেন্স— সব মিলিয়ে এই জগতে তাকে মানায় বলেই মনে করছেন ভক্তরা। ফুটবলে যেমন তিনি নিজেকে সীমা ছাড়িয়ে প্রমাণ করেছেন, তেমনি বড় পর্দাতেও কি নতুন চমক দেখাবেন? প্রশ্নটা রয়ে গেল।
এখন সবই ইঙ্গিত আর গুঞ্জন। অফিসিয়াল ঘোষণার অপেক্ষায় ফ্যানরা। তবে একটা কথা নিশ্চিত—যদি রোনালদো সত্যিই ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’–এ আসেন, তাহলে সেটা হবে শুধু সিনেমার খবর নয়, পপ কালচারের বড় ঘটনা।