ঢালিউডের ব্যস্ত শুটিং ফ্লোরে প্রতিদিনই তৈরি হয় নতুন গল্প— কখনো ক্যামেরার সামনে, কখনো ক্যামেরার পেছনে। তেমনই দুই ভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি শোনালেন অভিনেতা আব্দুন নূর সজল। একদিকে শবনম বুবলীর সঙ্গে সদ্য শেষ করা সিনেমা, অন্যদিকে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে নতুন যাত্রা— দুই অভিজ্ঞতাই যেন তার কাছে আলাদা করে মনে রাখার মতো।
‘শাপলা শালুক’ সিনেমার শুটিং শেষ করে সজল বুঝেছেন, প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করলেও বোঝাপড়ায় কোনো ঘাটতি ছিল না। তার ভাষায়, বুবলী ভীষণ সিনসিয়ার। কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আর চরিত্রে ঢোকার আন্তরিক চেষ্টা— সব মিলিয়ে সহশিল্পী হিসেবে তাকে স্বস্তি দিয়েছে। গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক পরিবেশে, সীমান্তঘেঁষা এলাকায় শুটিং— সব প্রতিকূলতাও যেন সহজ হয়ে উঠেছিল পারস্পরিক সহযোগিতায়।
পরিচালক রাশেদা আক্তার লাজুকের যত্নশীল কাজের কথাও উঠে আসে সজলের কথায়। গল্পকে যেভাবে তিনি পর্দায় তুলে ধরতে চেয়েছেন, শিল্পীরা সেটার সঙ্গে একাত্ম হয়েই কাজ করেছেন। শুটিংয়ের শেষ লট পর্যন্ত সেই নিষ্ঠার ছাপ স্পষ্ট।
এবার নতুন সিনেমা ‘দুর্বার’-এ সজলের বিপরীতে থাকছেন অপু বিশ্বাস। প্রথমবার একসঙ্গে কাজ হলেও রিহার্সাল থেকেই তৈরি হয়েছে স্বচ্ছন্দতা। সজলের চোখে অপু বিশ্বাস ভীষণ আন্তরিক— সংলাপ বোঝা, দৃশ্যের গভীরতা ধরা আর সহশিল্পীকে সহযোগিতা করা— সবকিছুতেই তার অভিজ্ঞতার ছাপ। থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমায় দর্শকের জন্য থাকছে চমক, এমনটাই প্রত্যাশা।
বছরের শেষটা ‘দুর্বার’-এর শুটিং দিয়েই করতে চান সজল। সামনে আরও কয়েকটি নতুন সিনেমার চুক্তি— সব মিলিয়ে ২০২৬ সালকে তিনি দেখতে চান নিজের সিনেমার বছর হিসেবে। তবে তাড়াহুড়ো নয়, গল্প আর চরিত্রে ভিন্নতা থাকলেই তাতে সাড়া দেবেন— এই বিশ্বাসেই এগোতে চান।
একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে ভিন্ন দুই নায়িকার প্রতি সজলের মূল্যায়ন যেন ঢালিউডে একটি ইতিবাচক বার্তা দেয়— সফল কাজের পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তি আন্তরিকতা, সিনসিয়ারিটি আর পারস্পরিক শ্রদ্ধা। আর সেখানেই অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী— দুই নামেই মিল খুঁজে পান এই অভিনেতা।