ঢালিউডের রূপচর্চা ও সিনেমার আলোয় নাম লিখিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু কিছু অভিনেতার গল্পে থাকে ওঠানামার রঙিন ধারা, যা তাদের ক্যারিয়ারের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের গল্পকেও পাঠকের কাছে তুলে ধরে। এদের মধ্যে একজন হলেন শরীফুল রাজ।
শরীফুল রাজ শুরু করেছিলেন র্যাম্প মডেলিং দিয়ে, তার পর প্রথমবার ‘আইসক্রিম’ সিনেমায় অভিনয়। এরপর ‘ন ডরাই’ এবং পরিচালক রায়হান রাফীর ‘পরাণ’ সিনেমা তাকে সত্যিকারের পরিচিতি দিয়েছে। একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে তিনি প্রমাণ করেছেন তার নিজস্ব জায়গা চলচ্চিত্র জগতে।
কিন্তু জীবন শুধু সিনেমার আলো দিয়ে সাজানো হয় না। পরীমনির সঙ্গে সম্পর্ক, বাবার দায়িত্ব নেওয়া, এবং বিয়েবিচ্ছেদের মতো ব্যক্তিগত উত্থান-পতন—সব মিলিয়ে শরীফুল রাজের গল্প হয়ে উঠেছে পাঠক ও দর্শকের কাছে আরও বেশি মানবিক। তিনি স্বমহিমায় ফিরে আবার নতুন উদ্যমে সিনেমার শুটিংয়ে যোগ দিয়েছেন।
সম্প্রতি জানা গেছে, তিনি তানিম নূর পরিচালিত ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ এবং আলভী আহমেদের ‘জীবন অপেরা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন। ‘জীবন অপেরা’র গল্পের মূল চরিত্র রফিক—একজন ব্যক্তি যাদের দুটি জীবন একসাথে চলে। এক জীবনে ব্যর্থ প্রেমিক, আরেক জীবনে সুখী সংসারী। গল্পের এই প্যারালাল জীবন পাঠক ও দর্শককে নতুন ধরনের চিন্তা আর অনুভূতি উপহার দেবে।
শরীফুল রাজ বলেন, ‘চুক্তিসহ করেছি। আপাতত এর বেশি কিছু বলতে চাইছি না। সময় হলে সবই জানতে পারবেন।’ এই লাইনটা যেন বলছে, তার নতুন সিনেমাগুলোতে আরও অনেক রহস্য, গল্প আর আবেগ অপেক্ষা করছে দর্শকের জন্য।
শরীফুল রাজের গল্প আমাদের শেখায়, জীবন ও ক্যারিয়ারের উত্থান-পতনকে হালকা দৃষ্টিতে নিলেও আনন্দের সঙ্গে এগোতে হয়। সময় হলে সবই জানা যাবে— তবু এই অপেক্ষার মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা আর আগ্রহ তৈরি হয়, যা শুধু তার ভক্তরাই নয়, নতুন দর্শককেও চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত রাখে।