‘ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবি’ নামে প্রতারণা, ক্রেতাবেশে ধরল ভোক্তা অধিদফতর
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৮:০২ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ২০:১৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীতে বেশ পরিচিত দুটি পাঞ্জাবির দোকানে ক্রেতাবেশে গিয়ে ‘ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবি’ বিক্রির নামে প্রতারণার তথ্য উদঘাটন করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, দেশে বিভিন্ন কারখানায় তৈরি পাঞ্জাবিতে ‘ইন্ডিয়ান’ ট্যাগ লাগিয়ে সেগুলো দুই হাজার থেকে ত্রিশ হাজার টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছিল।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে ‘সেলিম পাঞ্জাবি মিউজিয়াম’ ও ‘পরিস্থান’ নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় অধিদফতরের টিম। এতে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ।
‘ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবি’ বলে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করায় সেলিম পাঞ্জাবি মিউজিয়ামকে ২ লাখ এবং পরিস্থানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
অধিদফতরের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সেলিম পাঞ্জাবি মিউজিয়াম ও পরিস্থান- দুটোই চট্টগ্রামের খুবই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। আমরা অভিযোগ পেয়েছিলাম, তারা দেশে তৈরি পাঞ্জাবিতে ইন্ডিয়ান ট্যাগ লাগিয়ে বিক্রি করছে। সত্যতা যাচাইয়ে আমাদের দুজন কর্মী আজ (শনিবার) দুপুরে ক্রেতা বেশে সেখানে যান। তারা পাঞ্জাবি দেখে দরদাম করছিল। ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবি বলার পর কথায় কথায় সেগুলো ইন্ডিয়া থেকে কিভাবে এনেছেন সেটা এবং কোনো ক্রয় ভাউচার আছে কি না জানতে চাওয়া হয়। তখন তাদের প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।’
‘এরপর আমরা পুরো টিম দোকানে প্রবেশ করি। তখন তারা স্বীকার করে যে, পাঞ্জাবিগুলো ঢাকা-চট্টগ্রামের বিভিন্ন কারখানায় দেশীয় কাপড়ে তৈরি। দোকানে আনার পর তারা ইন্ডিয়ান ট্যাগ লাগিয়ে সেগুলো বিক্রি করছে। তাদের কাছে দুই হাজার থেকে ত্রিশ হাজার টাকা দামের পাঞ্জাবিও আছে বলে জানালেন। অথচ এগুলো দেশে তৈরিতে এত টাকা খরচ হওয়ার কথা নয়। দেশি প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি হলে বড়জোড় হাজার-দেড় হাজার টাকা দাম হতো, যেগুলো তারা ১০-১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছে।’
ফয়েজ উল্যাহ আরও বলেন, ‘উভয় দোকানে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে কথিত ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবি বিক্রি করা হচ্ছিল। এটা ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা এবং অপরাধ। আমরা তাদের জরিমানা করেছি। ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের প্রতারণা করবে না বলে অঙ্গীকার করেছে।’
সারাবাংলা/আরডি/এমপি