বিদায়ী ভাষণে বাইডেনের সতর্কবার্তা
১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪২ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৭
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার বিদায়ী ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রে বিপজ্জনক অভিজাততন্ত্র গঠনের সতর্কবার্তা দিয়েছেন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ওভাল অফিস থেকে দেওয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে একটি অভিজাততন্ত্র গঠিত হচ্ছে, যা চরম ধন, ক্ষমতা এবং প্রভাবের মাধ্যমে আমাদের গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।’
বাইডেন তার ভাষণে জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকির বিষয়েও সতর্ক করেন। বিদায়ী ভাষণে বাইডেন তার প্রশাসনের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি, মহামারি থেকে দেশকে উত্তরণ এবং নিরাপদ রাষ্ট্র গঠনের বিষয়গুলো উঠে আসে।
তবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজের পুরো প্রভাব বুঝতে সময় লাগবে, তবে যে বীজ বপন করেছি, তা ভবিষ্যতে প্রস্ফুটিত হবে।’
বাইডেন বিদায়ী ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন প্রশাসনের সফলতা কামনা করলেও বেশ কিছু বিষয়ে সতর্কবার্তা দেন। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী গোষ্ঠীগুলো তাদের স্বার্থ রক্ষায় জলবায়ু সংকট মোকাবিলার পদক্ষেপগুলো বাতিল করতে চায়।’
ভুল তথ্য প্রচার সম্পর্কে বাইডেন সতর্ক করে বলেন, ‘আমেরিকানরা এখন ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রভাবের নিচে রয়েছে, যা ক্ষমতার অপব্যবহারকে উৎসাহিত করছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘মেটার মতো প্ল্যাটফর্মগুলো স্বাধীন তথ্য যাচাইকারীদের বাদ দিচ্ছে। সত্য মিথ্যার নিচে চাপা পড়ছে, যা ক্ষমতা ও মুনাফার জন্য বলা হচ্ছে।’
বাইডেন অতিধনী ‘টেক-ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের’ অভিজাততন্ত্রের সমালোচনা করেন, যা সিলিকন ভ্যালির ইলন মাস্কের মতো ব্যক্তিদের দিকে ইঙ্গিত করে। মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এবং তার প্রচারণায় উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
বিদায়ী ভাষণের শেষ পর্যায়ে বাইডেন আমেরিকানদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের দেশ রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের। এই আলোর শিখা জ্বালিয়ে রাখুন।’
এদিন বাইডেন ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণাও দেন, যা ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হবে। এই চুক্তিকে তার জীবিকার অন্যতম কঠিন আলোচনার ফলাফল হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। ট্রাম্প প্রশাসনও এই চুক্তি নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করেছে।
সারাবাংলা/এনজে