অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিন থাকলে জনগণ মানবে না: মির্জা ফখরুল
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪৫ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:১৪
ঢাকা: অন্তবর্তী সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে জনগণ মানবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সব সংস্কার যদি অন্তবর্তী সরকার করে তাহলে জনগণ ও সংসদের কোনো দরকার নেই। নির্বাচিত সরকারই ঠিক করবে কী কী সংস্কার হবে। আর সংসদেই সিদ্ধান্ত হবে সংবিধান পরিবর্তন হবে কি না। সংবিধান বাতিল কিংবা পুনর্লিখনের সিদ্ধান্ত নেবে সংসদ। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মৌলিক যে পরিবর্তনগুলো আনা দরকার, তা জনগণের মতামত ছাড়া সম্ভব না। তার জন্য দরকার পার্লামেন্ট। আর নির্বাচনের জন্য দরকার নিরপেক্ষ সরকার। এখন নিরপেক্ষ সরকার আছে, সেজন্য নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে গঠন করতে হবে। ছাত্র-জনতা যে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন দেশ গঠনের জন্য সেটাকে নসাৎ করার জন্য অনেকে বিভ্রান্তমূলক কথা বলছে। আমরা আন্দোলনে হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতি পূরণ দেওয়ার দাবি জানাই।’
মির্জা ফখরুল, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের সরকার যেন আসতে পারে সেই দাবি জানাই। এখনো প্রশাসনে মদতদাতা আছে তাদের সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ প্রশাসনের দাবি করছি।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। জাতীয় বিপ্লবের পরে দলীয় সরকার কায়েম হয় না। সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের জনগণের সঙ্গে থাকা লাগবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকা লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হলে জাতীয় ঐক্য গঠন করতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করলে যারা রক্ত দিয়েছে তাদের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। নির্বাচন অবশ্যই হবে, তবে আগে সংস্কার করতে হবে। রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও