Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আম্পানে চুয়াডাঙ্গার আমচাষিদের ক্ষতি প্রায় ৩২ কোটি টাকা


২৮ মে ২০২০ ১৩:৪৩ | আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ১৫:৩৭

চুয়াডাঙ্গা: ঘূর্ণিঝড় আম্পানে চুয়াডাঙ্গার আমবাগাগের মালিকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া সময় মতো সব আম বিক্রি করতে পারবেন কি না সেটা নিয়েও তারা সংশয়ে আছেন। পর পর দু’টি ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ মৌসুমে আম বিক্রি করে সারা বছরের বাগান পরিচর্যা ও শ্রমিকের মজুরি উঠে আসবে না বলে জানিয়েছেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে জেলাতে ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আম বাগান ছিলো। চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। এ হিসাবে চলতি মৌসুমে ৩০ হেক্টর জমিতে আমের নতুন বাগান হয়েছে। এসব বাগান থেকে ফলন হবে ২৯ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন আম। পাইকারি ১ হাজার ২০০ টাকা মণ হিসাবে ৮৯ কোটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা ছিলো এসব আমের। তবে সাম্প্রতিক ঝড়ে ১০ হাজার ৫৮৪ মেট্টিক টন আমের ক্ষতি হয়েছে। যার মূল্য ৩১ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।

বিজ্ঞাপন

চুয়াডাঙ্গার আম ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় এবার ফলন ভাল হয়েছে। করোনার কারণে বাজারজাত করা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছি। তবে আমাদের এলাকার হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই, আম্রপালিসহ অনেক ভালো ভালো জাতের আম ফলে। এ সব আম খুবই সুস্বাদু, দেশ-বিদেশে এর খ্যাতি আছে। তবে পর পর দুটি ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ মৌসুমে আম বিক্রি করে সারা বছরের বাগান পরিচর্যা ও শ্রমিকের মজুরি উঠে আসবে না।’

আম বর্গাচাষি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় উৎপাদিত আম জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চিটাগাং,বরিশাল, সিলেটসহ বাংলাদেশে বিভিন্ন মোকামে রফতানি করে থাকি। কিন্তু করোনার কারণে আমাদের এই আমগুলো বাজারজাত করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’

বিজ্ঞাপন

আরেক বর্গাচাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে বয়ে যাওয়া আম্পান ও কাল বৈশাখি ঝড়ে প্রচুর আম গাছ থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। এতে আমরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। অবশিষ্ট যে আমগুলো গাছে আছে, এর সঠিক বাজারজাতকরণ দরকার। এর জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলী হাসান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার হিমসাগর আম বিখ্যাত। আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা জাতে সঠিক দামে আম বিক্রি করতে পারে এজন্য জেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে আমরা এক সঙ্গে কাজ করছি। এ জেলা থেকে বিভিন্ন মোকামে আম পাঠাতে বা বিক্রি করতে কোনো ধরনের সমস্যা যাতে না হয় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন মোকাম থেকে যেসব ব্যবসায়ী চুয়াডাঙ্গায় আম কিনতে আসবেন তাদের নির্বিঘ্নে আসা, থাকা, খাওয়া এবং নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সব কিছুর দেখভাল করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আমসহ সকল প্রান্তিক চাষিকে কৃষি প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসার জন্য সরকার ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।

আমচাষি আমের ক্ষতি আম্পান চুয়াডাঙ্গা ঝড়

বিজ্ঞাপন

কিশোর অপরাধ, আমাদের করণীয়
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:০১

আরো

সম্পর্কিত খবর