Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের উদাহরণ তৈরি করতে হবে


২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ২২:০১ | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:৩২

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: একটি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কেমন, তা প্রকাশ পায় সেই দেশের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। নির্বচনের দিনটিই দেশের আইনশৃঙ্খলার প্রতিচ্ছবি। তাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের উদাহরণ তৈরি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে রাজধানীর গুলশান-২-এ ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটনে ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর আনিসুল এহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের হেড অব পার্টি কেটি ক্রোক, দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বার্তা প্রধান আশিস সৈকত, ফেমা সভাপতি মুনিরা খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুজতবা আহমেদ মুর্শেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবীর কাওছার, ডি.নেট-এর সিইও সিরাজুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে যে সহিংসতা, যুদ্ধংদেহী মনোভাব, সেটা এখনও রয়েই গেছে। আমরা জানি ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার কথা। ২০১৪ নির্বাচনের সময়ের এবং নির্বাচনের এক বছর পরেও নির্বাচনকে নিয়ে সহিংসতা চলে, যার ফলে অনেক মানুষ মারা যায়।

বিজ্ঞাপন

ডি.নেট সিইও সিরাজুল হোসেন বলেন, সহিংসতা দূরে রাখতে একটা নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকতে হবে যেখানে সবাই ন্যায়বিচার পাবে। পাশাপাশি গণমাধ্যমকেও এই সময় সচেতন থাকতে হবে, যেন এমন কোনো সংবাদ পরিবেশন করা না হয় যা হঠাৎ মানুষকে আবেগ তাড়িত করে ফেলে এবং তা থেকে একটি সহিংসতা তৈরি হয়। মানুষকেও সচেতনতা বাড়াতে হবে।

বক্তারা দীর্ঘমেয়াদে দেশে নির্বাচনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভোটারদের সচেতনতা, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, নির্বাচন কমিশনের শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করা, তরুণদের ওপর নির্ভারশীলতা বাড়ানো, বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক কর্মীদের পারস্পরিক বোঝাপড়া, পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা দেওয়া, ভোট গ্রহণের পরের কয়েকদিনও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দেন।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশোনালের হেড অব পার্টি কেটি ক্রোক বলেন, নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করতে চায়। ভোটাররা যদি অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, তবে অবশ্যই একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়া সম্ভব।

সারাবাংলা/এমএ/টিআর

গোলটেবিল বৈঠক শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে করণীয়

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

আরো

সম্পর্কিত খবর