উড়তে থাকা নাঈমকে এবার দেখা যাবে জাতীয় দলে?
২২ মার্চ ২০২৫ ১৬:৫৭
জাতীয় দলের ওপেনিং পজিশনের ভণ্ডুল দশার মধ্যে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে যাচ্ছেন ওপেনার নাঈম শেখ। এনসিএল টি-টোয়েন্টির গত আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন নাঈম। সেই ধারাবাহিকতায় বিপিএলেও সর্বোচ্চ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। দুই টুর্নামেন্টেই নাঈমের স্ট্রাইকরেট ছিল প্রসংশনীয়। চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও (ডিপিএল) রান বন্যায় বইছে নাঈমের ব্যাট।
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলেই ৪৫৯ রান তুলে ফেলেছেন নাঈম। স্ট্রাইকরেট একশ বিশের বেশি। এর মধ্যে একটা ম্যাচে ১৭৬ রানের ঝকঝকে একটা ইনিংস খেলেছেন তরুণ ওপেনার। ফর্মে থাকা নাঈম কি এবার জাতীয় দল থেকে ডাক পাবেন?
জাতীয় দলের ওপেনিং পজিশনের অনেক আগে থেকেই ভণ্ডুল দশা। তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে ওপেনিংয়ে থিতু হতে পারেননি লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম বা এনামুল হক বিজয়দের কেউই। বাংলাদেশের পরবর্তী রঙিন পোশাকের সিরিজ পাকিস্তানের বিপক্ষে। জানা যাচ্ছে, সেই সিরজে নাঈমকে দলে ফেরানোর কথা ভাবছেন নির্বাচকরা।
বাংলাদেশের হয়ে ১টি টেস্ট, ৮টি ওয়ানডে ও ৩৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা নাঈম সর্বশেষ জাতীয় দলে খেলেছেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে।
এদিকে, দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নাঈম এবারের ডিপিএলে নিজের সঙ্গে নিজের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। এবারের ডিপিএলে ১০০ চার ও ৫০ ছক্কা হাঁকানোর টার্গেটের কথা জানিয়েছেন নাঈম।
বলেছেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে আমি ৫০০ রান করেছি, ৬০০–৮০০ রান করেছি, এমনকি ৯৫০ রান করারও নজির আছে। তাই এখন নতুন একটা মানসিকতা ঠিক করেছি যে এটা (বাউন্ডারির রেকর্ড) সম্ভব কি না। নিজের সীমাটা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আগে ৫০০-৬০০ রান করলে হয়তো সিঙ্গেল বেশি থাকত, বাউন্ডারি কম মারতাম। এবার ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ্য ঠিক করেছি ১০০ বাউন্ডারি ও ৫০ ছক্কা মারার। চেষ্টা থাকবে লক্ষ্য পূরণ করার।’
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিনত নাঈম বলেছেন, এখন ইনিংস বড় করা শিখে গেছেন তিনি, ‘গত দুই বছর রান পাওয়ার নেপথ্যে কোনো রহস্য নেই। উইকেট আন্দাজ করে, নিজের খেলা বুঝে ধারাবাহিক রান করার চেষ্টা করছি। আগের ভুলগুলো যেন আর না করি। বেশি করে শিক্ষা নিয়ে যেন ইনিংস লম্বা করতে পারি। ক্যারিয়ারের শুরুতে আমি ৪০-৫০-৭০ রানে অনেকবার আউট হয়েছি। এখন যেদিন সেট হই, সেদিন আর মিস করি না। ভালো শুরু পেলে ইনিংস আরও লম্বা করার চেষ্টা করি। যত লম্বা করা যায়… ১৩০-১৪০… ওয়ানডেতে কোনো সীমা নেই।’
সারাবাংলা/এসএইচএস