দিনভর নাটকীয়তার পর রাজশাহী ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরার ঘোষণা
১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:০০
একাদশ বিপিএলের ঢাকার প্রথম পর্ব এবং সিলেট পর্ব শেষ। রাত পোহালে মাঠে গড়াবে চট্টগ্রাম পর্ব। তার আগে আজ দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের নিয়ে দিনভর চলল নাটকীয়তা। অভিযোগ পাওয়া গেল, পারিশ্রমিক না পাওয়ার কারণে অনুশীলন বর্জন করেছেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। নানান নাটকীয়তার পর রাতে রাজশাহীর ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরার ঘোষণা শোনা গেছে।
পূর্ব সূচি অনুযায়ী আজ সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নামার কথা ছিল রাজশাহীর ক্রিকেটারদের। কিন্তু ৯টা ৪৮ মিনিটে রাজশাহীর ক্রিকেটারদের অনুশীলন বাতিল করে বিশ্রামের বার্তা দেওয়া হয়। পরে শোনা যায়, পারিশ্রমিক না পাওয়ার কারণে অনুশীলন বর্জন করেছেন ক্রিকেটাররা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির কয়েকজন ক্রিকেটার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এসব নিয়ে নানান আলোচনার মধ্যে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ রাজশাহী কিংসের টিম হোটেলে যান। লম্বা সময় ধরে ক্রিকেটার এবং মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফারুক আহমেদ। পরে বিসিবির বিসিবির পরিচালক মনজুর আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বিষয়টা সমাধানের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আগামীকাল ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হবে বলে আশাবাদি বিসিবি। আগামীকাল ক্রিকেটাররা অনুশীলনে ফিরছেন সেটাও জানিয়েছেন মনজুর আলম।
নিয়ম অনুযায়ী, বিপিএল শুরুর আগে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ৫০ শতাংশ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ক্লাবগুলোর। টুর্নামেন্ট চলাকালে ২৫ শতাংশ এবং বিপিএল শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে বাকি ২৫ শতাংশ পরিশোধ করার কথা রয়েছে। কিন্তু রাজশাহীর বেশিরভাগ দেশি ক্রিকেটাররা কোনো টাকাই নাকি পাননি। বিদেশিরাও পেয়েছেন কেবল ২৫ শতাংশ। শুধু তাই নয় গত ১০ দিনে ক্রিকেটারদের দৈনিক ভাতাও (ডিএ) নাকি পরিশোধ করেনি রাজশাহী।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পক্ষ থেকে চেক প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু টাকা তুলতে গেলে সেই চেক নাকি বাউন্স করে। পরে অনুশীলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন ক্রিকেটাররা।
অবশ্য দুর্বার রাজশাহীর পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজশাহীর ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ বলেন, ‘অনুশীলন বয়কট যে শব্দটা ব্যবহার করা হচ্ছে আমি যতটুকু জানি এবং আমার টিম ম্যানেজমেন্ট বা খেলোয়াড় কারো পক্ষ থেকে বয়কট শব্দটি যায়নি। আমাদের ম্যাচ আছে আমরা ব্যস্ত সূচির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল এজন্য ক্রিকেটাররা বিশ্রাম চেয়েছিল।’
‘আমরা তাদের বিশ্রাম দিয়েছি। পেমেন্টের কোন ইস্যু ছিল না। পেমেন্টের ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামীকাল ১৬ তারিখ বিকেল বা দুপুরের পর পর আমরা পেমেন্টগুলো দিয়ে দেব। সে অনুযায়ী আমরা ম্যানেজমেন্ট কাজ করছি এবং প্রতিটা ক্রিকেটারই জানে।’- যোগ করেছেন তিনি।
চেক বাউন্স হওয়ার কারণ সম্পর্কে জায়েদ আহমেদ বলেন, ‘চেক বাউন্সের যে ইস্যুটা ছিল, আমরা চেক দিয়েছিলাম সিলেটে। আপনারা জানবেন যে ঢাকাতে আমাদের শেষ ম্যাচে মালিকের স্ত্রীর গায়ে একটা বল লেগেছিল এবং হাড়ে চিড় ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ব্যাংকক নিয়ে যাওয়া লাগে। ফোনে যেহেতু ব্যাংক ক্লিয়ারেন্সের ব্যাপার থাকে। মালিককে পাবে তাই আমরা আগের দিনই জানিয়ে দিয়েছিলাম তোমরা চেকগুলো জমা দিও না ‘
‘এটা প্রায় সব ক্রিকেটারকে জানিয়েছিলাম, এরমধ্যে হয়ত দু-একজন জমা দিয়ে ফেলেছিল। পরে বলেছে ভাইয়া তথ্যটা আমাদের কাছে ছিল না, আমরা মিস করে গেছি। অসুবিধা নেই ভাইয়া, এটা যখন আসবে তখন আমরা ম্যানেজ করে নিব। এতটুুকুই ছিল ব্যাপার কিন্তু সবার কাছে চেক দেয়া আছে ২৫ শতাংশের। আর বিদেশি যারা ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফ আছে তাদের ইতোমধ্যে ২৫ শতাংশ দিয়ে ফেলেছি।’
সারাবাংলা/এসএইচএস