বেলজিয়ামের আত্মঘাতী গোলে কোয়ার্টারে ফ্রান্স
২ জুলাই ২০২৪ ০০:০১ | আপডেট: ২ জুলাই ২০২৪ ০০:২৩
গোটা ম্যাচজুড়ে ফ্রান্সের একচেটিয়া আধিপত্য। একের পর এক আক্রমণ করেও কিলিয়ান এমবাপেরা পারেনি লক্ষ্যভেদ করতে। ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে এসে জয়সূচক গোল এলো ফ্রান্সের। তবে আত্মঘাতী গোল করে নিজেদেরই ছিটকে দিলেন ভারটনগেন। আর তাতেই বেলজিয়ামকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কাটল ফ্রান্স।
ডুসেলডর্ফে সোমবার (১ জুলাই) শেষ ষোলোর ম্যাচে ভারটনগেন ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে আত্মঘাতী গোল করলে ফ্রান্স জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ আর শেষ ষোলোতে বেলজিয়ামের বিপক্ষের ম্যাচসহ মোট চার ম্যাচে ফ্রান্স গোল পেয়েছে মাত্র তিনটি। আর এই তিন গোলের ভেতর দুটি গোলই আত্মঘাতী আর একটি গোল এসেছে পেনাল্টি থেকে। অর্থাৎ ওপেন প্লে থেকে একটিও গোল করতে পারেনি ফ্রান্স। বেলজিয়ামের করা আত্মঘাতী গোলে জিতে শেষ আটে ফ্রান্স। বড় টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ, ইউরো) বেলজিয়ামের বিপক্ষে ফ্রান্সের জয়ের ধারা অব্যাহত রইল, পাঁচ ম্যাচের সবগুলোই জিতল তারা।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে ফ্রান্স এগিয়ে থাকলেও উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কেউই। একাদশে ফেরা অ্যান্টোনিও গ্রিজমান দশম মিনিটে শট নেন বক্সের বাইরে থেকে, তবে অনায়াসে ঠেকান গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর বক্সের ভেতর থেকে উড়িয়ে মারেন কিলিয়ান এমবাপে। ২৪তম মিনিটে ফ্রান্সের বক্সের বাইরে জেরেমি ডোকুকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন গ্রিজমান। কেভিন ডে ব্রুইনের ফ্রি-কিক শেষ মুহূর্তে পা দিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক মাইক মাইগান। তিন মিনিট পর বেলজিয়ামের ইয়ানিক কারাসকোর শট প্রতিহত হয় ডিফেন্ডার থিও এরনঁদেজের গায়ে লেগে।
এরপর ৩৪তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান ফ্রান্সের মার্কাস থুরাম, ডান দিক থেকে জুল কুন্দের ক্রসে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটি সুযোগ পান অহেলিয়া চুয়ামেনি, উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার। প্রথমার্ধে গোলের জন্য ৯টি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ফ্রান্স, বেলজিয়াম শটই নিতে পারে স্রেফ একটি।
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বক্সের বাইরে থেকে চুয়ামেনির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান বেলজিয়ান গোলরক্ষক কোয়েন কাস্তেলস। ৫৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষের দুইজনের বাধা এড়িয়ে এমবাপের নেওয়া শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। ৬১তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়ে যায় বেলজিয়াম। ডি ব্রুইনের থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন কারাসকো, তার প্রচেষ্টা স্লাইডে ব্যর্থ করে দলকে বাঁচান এরনঁদেজ। ৭১তম মিনিটে রোমেলু লুকাকুর নিচু শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক মাইগান।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের শেষের দিকে গড়াচ্ছিল ম্যাচ। পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে ভাঙে বেলজিয়ামের রক্ষণ। সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে একটু জায়গা বানিয়ে ডান পায়ে কোনাকুনি শট নেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা রান্দাল কোলো মুয়ানি, বল ভার্টনগনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়, কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষক কাস্তেলসের, তিনি আগেই ঝাঁপ দেন অন্য দিকে।
ওই গোলে শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের জয় মিলল ঠিকই, তবে আক্রমণভাগের বিবর্ণতা কাটল না এখনও। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পর্তুগাল অথবা স্লোভেনিয়ার মুখোমুখি হবে দুবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা।
সারাবাংলা/এসএস