গুলারের দুর্দান্ত গোলে জর্জিয়াকে হারাল তুরস্ক
১৮ জুন ২০২৪ ২৩:৫৯ | আপডেট: ১৯ জুন ২০২৪ ১০:০৪
ম্যাচের তখন ৬৫তম মিনিটের খেলা চলছিল। নিজেদের ডি বক্স থেকে একটু সামনেই বল হারায় জর্জিয়া। আর সেখান থেকে বল পেয়ে একটু এগিয়ে ডি বক্সের কাছে গিয়ে বাঁ পায়ের শটে ৩০ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন আরদা গুলার। আর তাতেই ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো লিড নেয় তুরস্ক। শেষ পর্যন্ত গুলারের এনে দেওয়া লিড ধরে রাখে তুরস্ক। আর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে আরেক গোল করে ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় তুরস্ক।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) জার্মানির ডর্টমুন্ডে জর্জিয়ার বিপক্ষে মাটে নামে তুরস্ক। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে মার্ট মালডারের গোলে এগিয়ে যায় তুরস্ক। তবে পিছিয়ে পড়ার কিছুক্ষণ পরেই ম্যাচে ফেরে জর্জিয়া। ৩২তম মিনিটে মিকাউতাদেজের গোলে সমতায় ফেরে জর্জিয়া। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৬৫তম মিনিটে আরদা গুলারের গোলে আবার লিড নেয় তুরস্ক। এরপর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে করিম আকতুরকোগলু গোলে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় তুরস্কের।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই হলো জমজমাট। দেখা মিলল চমৎকার দুটি গোলের। যার একটি করে দারুণ কীর্তি গড়লেন ১৯ বছর বয়সী আরদা গুলারের। জর্জিয়াকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে শুভসূচনা করল তুরস্ক। বড় টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দারুণ খেলল জর্জিয়া। পয়েন্টও পেতে পারত তারা, কিন্তু পোস্ট আর ক্রসবারের বাধায় তা হলো না। এই নিয়ে ছয়বার ইউরোয় অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিততে পারল তুরস্ক।
ডর্টমুন্ডে ম্যাচের শুরু থেকেই শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে দুই দল। তুরস্কের রক্ষণে কাঁপন যেমন ধরিয়েছে জর্জিয়া ঠিক তেমন তুর্কিরাও কম যায়নি। গোটা ম্যাচের ৫৬ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে ২২টি শট নিয়েছিল তুরস্ক। বিপরীতে ৪৪ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৪টি শট নেয় জর্জিয়া। তুরস্ক ৬টি বড় সুযোগ তৈরি করে গোলের, অন্যদিকে জর্জিয়া করে ৫টি। অর্থাৎ গোটা ম্যাচেই দুই দলের প্রতিযোগিতা হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি।
ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যেতে পারত তুরস্ক তবে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট। ২৫তম মিনিটে আর তুর্কিদের রুখতে পারেনি কেউ। মার্ট মালডারের গোলে লিড নেয় তুরস্ক। কাদিগ্লুর করা ক্রস জর্জিয়ার ডিফেন্ডার প্রতিহত করেন কিন্তু বল পেয়ে যান মালডার। সেখান থেকে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করে এগিয়ে নেন দলকে। দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেছিলেন ইয়ালদিজ কিন্তু ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে তা বাতিল করা হয়।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মালডারের শট ফিরিয়ে দেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক। ৬৫তম মিনিটে তুরস্ককে দ্বিতীয়বার এগিয়ে নেন গুলের। সতীর্থের থেকে বল পেয়ে একটু এগিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে বাঁ পায়ে গোলার মতো শট নেন তিনি, দূরের পোস্ট দিয়ে বল জড়ায় জালে। জাতীয় দলের হয়ে ইউরোয় প্রথমবার খেলতে নেমেই এমন একটি গোল করলেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
স্রেফ তৃতীয় টিনএজার হিসেবে ইউরোয় নিজের প্রথম ম্যাচে জালের দেখা পেলেন তিনি। ১৯৬৪ সালে স্পেনের বিপক্ষে হাঙ্গেরির হয়ে ফেরেঙ্ক বেনে ও ২০০৪ সালে পর্তুগালের হয়ে গ্রিসের বিপক্ষে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এই কীর্তি গড়েন। পাঁচ মিনিট পরই সমতায় ফিরতে পারত জর্জিয়া, কিন্তু বক্সের ভেতর থেকে ককোর্যাশভিলির শট ক্রসবারে লাগে। যোগ করা সময়েও পোস্ট বাধ সাধে জর্জিয়ার সামনে। এবার বুদু জিভজিভাদজের প্রচেষ্টা পোস্টে লাগে।
শেষ সময়ে কর্নায় পায় তারা। জর্জিয়ার গোলরক্ষকও চলে আসেন প্রতিপক্ষের বক্সে। তুরস্ক কর্নার ক্লিয়ার করার পর বল ধরে এগিয়ে ফাঁকা জালে পাঠান আকতুরকোগলু।
সারাবাংলা/এসএস