বাংলাদেশকে যেভাবে এগিয়ে নিতে চান নতুন অধিনায়ক শান্ত
৩ মার্চ ২০২৪ ১৩:৪৫ | আপডেট: ৩ মার্চ ২০২৪ ১৩:৫১
সপ্তাহ তিনেক হতে চলল তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতায় দেখা যায়নি তাকে। সেটা মূলত বিপিএলের কারণে। বিপিএল নিয়েই মাস দেড়েক ধরে ব্যস্ত ছিল দেশের ক্রিকেট। বিপিএল শেষে আবারও আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা। একদিন পর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা সিরিজ। পূর্নাঙ্গ অধিনায়কত্ব পাওয়া শান্ত আজ প্রথমবার সংবাদ সম্মেলন করলেন। জানিয়েছেন, তিনি কীভাবে এগিয়ে নিতে চান বাংলাদেশ দলকে।
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি- তিন ফরম্যাটের জন্য তিন রকম লক্ষ্যের কথা জানালেন শান্ত। টেস্টে দেশের মাটিতে নিয়মিত জিততে চান। ওয়ানডেতে শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নতুন অধিনায়কের। আর টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান।
টেস্টের প্রশ্নে শান্ত বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না টেস্ট ক্রিকেটে খুব বেশি উন্নতি করেছি। আগে যে অবস্থায় ছিলাম, তার চেয়ে ভালো খেলা শুরু করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাইব যে ঘরের মাঠে আমরা যে ম্যাচগুলো খেলব, বেশির ভাগ ম্যাচ যেন আমরা জিততে পারি।’
‘টেস্ট খেলার যে গুরুত্ব, সেটা যেন সবার মধ্যে আরও ভালোভাবে বিল্ডআপ হয়। আমরা যখন দেশের বাইর যাব, বাইরের দলগুলোর সঙ্গে যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। এটা একটা দিক।’- যোগ করেছেন তিনি।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরেই দারুণ ধারাবাহিক দল। গত এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বড় প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের। যদিও প্রত্যাশার ছিটেফোটাও পূরণ হয়নি। পারফরম্যান্সের চেয়ে বরং সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের দ্বন্দই বারবার সামনে এসেছে।
দারুণ খেলতে থাকা ওয়ানডে দলে শিরোপা জিততে চান শান্ত। বলেছেন, ‘ওয়ানডে তো আমরা ভালো করছি। তবে দল হিসেবে বড় কোনো টুর্নামেন্টে আমরা পারিনি। এই পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাব যে আমরা কীভাবে বড় টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারি বা দেশের জন্য একটা ট্রফি নিয়ে আসতে পারি।’
সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে গত এক বছর টি-টোয়েন্টিতে দারুণ ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের বছরে সেই ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে চান শান্ত।
টি-টোয়েন্টি প্রশ্নে বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমাদের গত বছরটা খুব ভালো কেটেছে। আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে আগে থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। আরও কিছু জায়গায় উন্নতি করলে দেখা যাবে যে আমরা যেকোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো কন্ডিশনে ভালো করছি। যখন খেলাগুলো শুরু হবে, তখন পরিকল্পনাগুলো আরও পরিষ্কার হবে। তবে এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা তিন সংস্করণে যে খেলোয়াড়েরা খেলব, শুধু ১৫ জন নয়, জাতীয় দলের আশপাশে যে ৩০-৩৫ জন আছে, প্রত্যেকের কীভাবে যার যার জায়গা থেকে দলের জন্য উন্নতি করে আসতে পারি।’
সারাবাংলা/এসএইচএস