অপ্রতিরোধ্য রংপুর ছিটকে পড়ল যে কারণে
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০৩ | আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫৫
দশম বিপিএলে ফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছে তারকাখচিত রংপুর রাইডার্স। অথচ এই দলটা চলতি বিপিএলে ছিল রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য। টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতে হারা দলটা এরপর যেন হারতেই ভুলে গিয়েছিল। তারপর টানা ৮ ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে রংপুর।
দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকজন বড় তারকা ক্রিকেটার খেলেছেন রংপুরে। দলটি গ্রুপ পর্ব শেষ করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে। সে হিসেবে ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ ছিল দুটি। প্রথম কোয়ালিফায়ার এবং দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার দুই ম্যাচের মধ্যে একটা জিতলেই ফাইনালে যেতে পারত রংপুর। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য রংপুর দুই সুযোগের একটিও কাজে লাগাতে পারেনি।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে হারার পর কাল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হেরেছে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। দাপুটে এগুতে থাকা রংপুরের কেন এমন ছন্দপতন? দলটির অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান এক্ষেত্রে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করলেন।
পুরো বিপিএল জুড়েই টপ অর্ডার নিয়ে ভুগেছে রংপুর। বাবর আজম চলে যাওয়ার পর ওপেনিং জুটি বারবার ব্যর্থ হয়েছে। তাতে বারবার ওপেনার পাল্টিয়েছে রংপুর, কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার কারণে প্রতি ম্যাচেই দায়িত্ব নিতে হয়েছে মিডল অর্ডার, লোয়ার মিডল অর্ডারকে। কিন্তু শুরুর ধাক্কার কারণে মাঝে মধ্যেই প্রত্যাশিত স্কোর পায়নি রংপুর।
কোয়ালিফায়ার দুই ম্যাচেও তেমনই হয়েছে। রংপুরের আসল ক্ষতিটা সেখানেই হয়েছে মনে করছেন নুরুল হাসান সোহান। গতকাল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের বরিশালের বিপক্ষে হারের পর সোহান বলছিলেন, ‘বাবর আজম চলে যাওয়ার পর থেকেই আমরা টপ অর্ডারে সেভাবে রান পাচ্ছিলাম না বলে স্ট্রাগল করতে হচ্ছিল। এই জন্য ওপেনিংয়ে বারবার চেঞ্জ করা হয়েছিল। মিডল অর্ডার আমাদের ভালো ছিল। কিন্তু পাওয়ার প্লেতে যদি দ্রুত উইকেট পরে যায় তাহলে সেখানে রানও উঠে না। সেই অবস্থা থেকে ব্যাক করা আসলে কঠিন হয়ে যায়।’
গতকালও শুরুতে ভুগেছে রংপুর। ১৮ রানে হারিয়ে ফেলেছিল তিন উইকেট। ফলে শেষ দিকে শামীম পাটোয়ারী ঝড়ো একটা ইনিংস খেললেও বড় স্কোর পায়নি রংপুর। থেমে গেছে ১৪৯ রানেই। জয়ের জন্য এই স্কোর যথেষ্ট নয়, বলছেন সোহান, ‘আসলে ১৪৯ রানের পুঁজিটা মোটেই যথেষ্ট ছিল না। আমরা শুরুতে পাওয়ার প্লেতে রানও করতে পারিনি। উইকেটও হারিয়েছি অনেক বেশি। আসলে আমরা শেষ তিন ম্যাচে দল হিসেবে মোটেই ভালো খেলিনি। খারাপ ক্রিকেট খেলেছি।’
‘শেরে বাংলার পিচে নতুন বল পাওয়ার প্লেতে সিম মুভমেন্ট হয়। আজও হয়েছে। আমরা ওই সময়টা ভালোমতো সামাল দিতে পারিনি। টিম হিসেবে আমরা খারাপ খেলেছি। দলের জন্য সময়মতো অবদান রাখতে পারিনি কেউ।’- যোগ করেছেন সোহান।
সারাবাংলা/এসএইচএস