সিলেটকে বিদায় করে প্লে-অফের কাছাকাছি বরিশাল
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৬ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪০
ফরচুন বরিশালের ১৮৩ রানের জবাব দিতে নেমে সিলেট স্ট্রাইকার্স যখন ৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসল ম্যাচটা কার্যত সেখানেই হেরেছে সিলেট! তবে এরপর বেনি হাওয়েল ও আরিফুল হক অসাধারণ একটা জুটি গড়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন সিলেট ভক্তদের। সেই স্বপ্ন সত্যি হয়নি।
শেষ পর্যন্ত ১৬৫ রানে থেমে গিয়ে ১৮ রানে ম্যাচ হেরেছে সিলেট। এই হারে চলতি দশম বিপিএল থেকে কার্যত ছিটকে পড়ল সিলেট। ১০ ম্যাচে তিনটি জয় পাওয়া সিলেট ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে। বাকি দুটি ম্যাচ জিতলেও প্লে-অফে যাওয়া হবে না সিলেটের।
অপর দিকে এই জয়ে প্লে-অফের আরও কাছাকাছি পৌঁছুল তামিম ইকবালদের ফরচুন বরিশাল। ১০ ম্যাচের ৬ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে বরিশাল। বাকি দুই ম্যাচের একটি জিতলে প্লে-অফ নিশ্চিত তামিমদের। হারলেও সুযোগ থাকবে প্লে-অফে যাওয়ার।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বরিশালের ১৮৩ রানের বড় স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরুতেই কোমড় ভেঙেছে সিলেটের। ব্যাট হাতে দারুণ এক ইনিংস খেলা বরিশালের ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার বল হাতেও নাচিয়েছেন সিলেটকে। শুরুর দিকে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মায়ার্স।
সিলেটের প্রথম তিন ব্যাটার হ্যারি ট্যাক্টর, জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত একজনও দুই অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি। চারে নামা অ্যাঞ্জেলো পেরেরা (১৭), পাঁচে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও (১০) ইনিংস বড় করতে পারেননি। সিলেটের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে রায়ান বার্ল (৩) সরাসরি বোল্ড হলেন সিলেটের রান তখন মাত্র ৪০!
এই অবস্থা থেকে ম্যাচ জেতা সম্ভব? সিলেট জিততে পারেনি। তবে দুর্দান্ত লড়াই করেছেন বেনি হাওয়েল ও আরিফুল হক। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৫২ বলে ১০৮ রান তোলেন দুজন। দুজন যখন ব্যাটিং করছিলেন মনে হচ্ছিল সিলেট জিতলেও জিততে পারে! তবে আরিফুল ৩১ বলে ৫টি চার ৪টি ছয়ে ৫৭ রান করে ফিরলে সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে। খানিক বাদে বেনি হাওয়েল ফিরেছেন ৩২ বলে ৫টি চার ২টি ছয়ে ৫৩ রান করে।
২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে থেমেছে সিলেট। মায়ার্স ৪ ওভারে ১২ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে বরিশালের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহিম ও কাইল মায়ার্স। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছিল বরিশালের। প্রথম বলে চার হাঁকিয়ে বরিশালের ইনিংস শুরু করেছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অপর ওপেনার আহমেদ শেহজাদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল আজ বুঝি কয়েক ম্যাচের রানক্ষরা মিটাবেন পাকিস্তানি ওপেনার।
কিন্তু দুজনের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। তামিম ১৮ বলে ১৯ রান করে আউট হয়েছেন। শেহজাদ ১১ বলে ১৭ রানে ফিরেছেন। সৌম্য সরকারও (৮ বলে ৮ রান) আজ রান পাননি। তারপরই মুশফিক আর মায়ার্সের ঘুরে দাঁড়ানোর এক জুটি।
প্রথমবার বিপিএল খেলতে নামা মায়ার্স প্রথমে সময় নিয়েছেন। তবে উইকেটে সেট হওয়ার পর বড় বড় শট খেলেছেন ক্যারিবিয়ান তারকা। অপর দিকে মুশফিকুর রহিম প্রথম থেকেই দ্রুত রান তুলতে চেয়েছেন।
চতুর্থ উইকেটে ৪৮ বল খেলে ৮৪ রান তুলেছেন দুজন। এই দুজন যখন ক্রিজে ছিলেন তখন মনে হচ্ছিল সহজেই দুইশ ছাড়িয়ে যাবে বরিশাল। কিন্তু তারা ফেরার পর সেই গতিতে ইনিংস টেনে নিতে পারেননি অন্যরা। মায়ার্স ৩১ বলে ৪৮ রান করে ফিরেছেন। তার ইনিংসে চার-ছক্কা ৩টি করে।
মুশফিকুর রহিম নিজের ভুলে রান আউট হওয়ার আগে ৩২ বলে ৩টি চার ৩টি ছয়ে ৫২ রান করেছেন। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আজ ব্যাটে ঝড় তুলতে পারেননি, ১২ বলে ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন। মেহেদি হাসান মিরাজ দুই ছয়ে ৭ বলে ১৫ রান করেছেন।
সারাবাংলা/এসএইচএস