দাপুটে জয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করল রংপুর

আগে ব্যাটিং করে ২১১ রানের পাহাড় গড়েছিল রংপুর রাইডার্স। ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা সেখানেই লেখা হয়ে যায়। তাছাড়া প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের একাদশে তেমন নামকড়া ব্যাটারও নেই। শেষ পর্যন্ত ৫৩ রানের বড় জয়ই পেয়েছে রংপুর।

ব্যাটিংয়ে নামলে চট্টগ্রামকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেয় রংপুর। পরে সৈকত আলী ও শুভাগত হোম চৌধুরী কিছুটা চেষ্টা করেছেন বটে। তবে সেটা চট্টগ্রামকে জেতাতে পারেনি। কেবল হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২১১ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। এতো বিশাল সংগ্রহ পেরিয়ে জিততে হলে শুরুটা হতে হতো দুর্দান্ত। কিন্তু চট্টগ্রামের শুরুটা হয়েছে তার উল্টো। উইকেট হারিয়েছে আবার রানও তুলতে পারেনি ঠিকমতো।

চট্টগ্রামের ওপেনার জশ ব্রাউনকে ব্যক্তিগত ৯ রানেই ফিরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। তিনে নামা টম ব্রুচকে (১৪) ইমরান তাহির ও চারে নামা শাহাদত হোসেন দ্বীপুকেও (৯) দ্রুত ফেরান সাকিব। তবে ওপেনার সৈকত আলী একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন।

চতুর্থ উইকেটে কার্টিস ক্যাম্ফারের সঙ্গে ৫৮ রানের একটা জুটি গড়ে চট্টগ্রাম সমর্থকদের স্বপ্ন দেখচ্ছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়নি। ক্যাম্ফার ২১ বলে ২৪ রান করে ফিরেছেন। খানিক বাদে সৈকতও ফেরেন ৪৫ বলে ১টি চার ৬টি ছয়ে ৬৩ রান করে।

শেষ দিকে অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরী ছোট একটা ইনিংস খেলে দলের হারই কেবল কমাতে পেরেছেন। ১৩ বলে ৩টি চার ২টি ছয়ে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন শুভাগত। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানে থেমেছে চট্টগ্রাম। রংপুরের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও জেমি নিশাম।

এর আগে চলতি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে রংপুর রাইডার্স। রংপুরের তারকার ক্রিকেটাররা বিপিএল ছেড়ে গেছে। পাকিস্তান সুপার লিগ শুরু হচ্ছে বলে বাবর আজম চলে গেছেন। জাতীয় দলের সিরিজ খেলতে আফগানিস্তানের দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইও চলে গেছেন। তাদের জায়গায় কয়েকজন বড় তারকাকেই অবশ্যই নিয়ে এসেছে রংপুর। আজ নতুন আসা তারকারাই মাতিয়ে দিল।

বাবর, নবিদের জায়গায় আজ রংপুরের হয়ে খেলতে নেমেছেন রেজা হেনড্রিক্স, জেমি নিশাম, ইমরান তাহিররা। রেজা হেনড্রিক্স ও জেমি নিশাম দুজনেই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেন। আগে ব্যাটিং করতে নেমে রংপুরের হয়ে শুরুতে দ্রুত রান তুলতে চেয়েছেন ওপেনার রনি তালুকদার। তবে ইনিংসটা বড় হয়নি। ১৭ বলে ৩টি চার ১টি ছয়ে ২৪ রান করে ফিরেছেন রনি।

রনি ফেরার পর হাত খুলতে থাকেন অপর ওপেনার হেনড্রিক্সও। তিনে নেমে সাকিব আল হাসান আজও দ্রুত রান তুলেছেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৩২ বলে ৬০ রান তোলেন এই দুজন। সাকিব মাত্র ১৬ বলে ৩টি চার ১টি ছয়ে ২৭ রান করে আউট হলে এই জুটি ভাঙে।

হেনড্রিক্সও এরপর খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে ছিলেন না। ৪১ বলে ৫টি চার ৩টি ছয়ে ৫৮ রান করে আউট হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার। শেষ দিনে নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জেমি নিশাম রীতিমতো ঝড় ‍তুলেছিলেন ব্যাটে।

২০ ওভারের খেলা যখন শেষ হলো নিশাম তখন মাত্র ২৬ বল খেলে ৫১ রানে অপরাজিত! তার ইনিংসে চারের মার ৫টি, ছক্কা ৩টি। নুরুল হাসান সোহান ২১ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসএইচএস

বিপিএল ২০২৪