রুবেলের দুঃস্বপ্নের প্রত্যাবর্তন, সিলেটের টানা দ্বিতীয় জয়
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৪ | আপডেট: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫০
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের দরকার ছিল ১৯ রান। পিচ যেমন আচরণ করছিল তাতে একটু বুঝেশুনে বোলিং করলে খুলনাই জিততে পারত। কিন্তু ১৯তম ওভারে রুবেল হোসেন বোলিংয়ে এসে সব হিসেব উলট-পালট করে দিলেন। ১৯তম ওভারেই ১৯ রান খরচ করেছেন রুবেল।
খুলনার বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ৬ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতেছে সিলেট। রুবেল ম্যাচে ২ ওভার বোলিং করে খরচ করেছেন ৩৬ রান! বিপিএলে প্রত্যাবর্তনটা দুঃস্বপ্নের মতোই হলো রুবেলের।
অনেকদিন যাবত জাতীয় দলের বাইরে রুবেল। এবারের বিপিএলেও শুরুতে সেরা একাদশে জায়গা হচ্ছিল না তার। আজ খুলনার সপ্তম ম্যাচে প্রথমবার একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন রুবেল। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগানো তো দূরের কথা, তার বোলিংয়েই ডুবতে হলো খুলনাকে!
টুর্নামেন্টের প্রথম পাঁচ ম্যাচ হারা সিলেটের এটা তৃতীয় জয়। ৯ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে দলটা এখনো পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে। অপর দিকে সাত ম্যাচ খেলা খুলনার এটা তৃতীয় হার।
শুক্রবার (৯ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনার ১৫৩ রানের জবাবে ওপেনিং পজিশনে পরিবর্তন নিয়ে নেমেছিল সিলেট। ওপেনিংয়ে রান পাচ্ছেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে শান্তকে ওপেনিং থেকে তিন নম্বরে ঠেলে ওপেনিংয়ে সামিত প্যাটেলকে পাঠানো হয়।
সামিত প্যাটেল শুরুর দিকে দারুণ কিছুর আভাস দিচ্ছিলেনও, তবে ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ৯ বলে ১৩ রান করে আউট হয়েছেন প্যাটেল। তিনে নেমে শান্তও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। ১৬ বলে তিন চারে ১৮ রান করে আউট হয়েছেন। চারে নেমে জাকির হাসান ২ বল খেলে শূন্য রানে ফিরলে চাপ বাড়ে সিলেটের।
তবে ওপেনিংয়ে নামা হ্যারি ট্যাক্টর একপ্রান্ত আগলে রেখে অবিচল ছিলেন। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন পাঁচে নেমে সিলেটকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। শেষ দিকে রায়ান বার্ল রুবেলের বিপক্ষে ঝড় তুললে জয়ের সমীকরণ হয়ে যায় সিলেটের।
মোহাম্মদ মিঠুন ১৯ বলে ৩টি চারে ২৪ রান করেন। ওপেনিংয়ে নামা হ্যারি ট্যাক্টর ৫২ বলে ৬টি চার ৩টি ছয়ে ৬১ রান করেন। রায়ান বার্ল ১টি চার ৩টি ছয়ে মাত্র ১৬ বলে ৩২ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে এনামুল হক বিজয় ও হাবিবুর রহমান সোহানের ব্যাটে ১৫৩ রানের স্কোর গড়েছে খুলনা। আগে ব্যাটিং করতে নেমে খুলনার শুরুটা প্রত্যাশামতো হয়নি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ক্যারিবিয়ান ওপেনার এভিন লুইস আজ রান পাননি। ১০ বলে ১২ রান করে ফিরেছেন লুইস।
তবে অপর ওপেনার এনামুল হক বিজয় একপাশ আগলে রেখে খেললেও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারছিলেন না। তিনে নামা আফিফ হোসেনের ব্যাটে অবশ্য কিছুটা এগুতে পেরেছে খুলনা। ১৬ বলে ৩টি চার ১ুট ছয়ে ২৪ রান করে ফিরেছেন আফিফ।
চার নম্বরে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় ৬ বলে ১ রান করে আউট হয়েছেন। তবে পাঁচে নেমে হাবিবুর রহমান সোহান শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলতে চেয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় বড় ছক্কা হাঁকিয়ে পরিচিতি পাওয়া এই তরুণ শেষ দিকে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন। ৩০ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তার ইনিংসে চার ও ছক্কা ৩টি করে।
শেষ ওভারে দুই চার এক ছক্কা হাঁকানো এনামুল হক বিজয় শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে ৬৭ রান তোলেন। বিজয় চার মেরেছেন ৫টি, ছক্কা ২টি।
২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানে থেমেছে খুলনা। সিলেটের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন সানজামুল হক, সামিত প্যাটেল ও বেনি হাওয়েল।
সারাবাংলা/এসএইচএস