বিপিএল ছাড়ার আগে যে পরামর্শ দিলেন বাবর
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫২ | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:১৪
বিপিএল ছাড়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে বাবর আজমের। কিছুদিন পর মাঠে গড়াবে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। পিএসএলের দলে যোগ দিতে আগামীকাল ঢাকা ছাড়ার কথা বাবরের। যাওয়ার আগে পাকিস্তানি তারকা বলেছেন, বিপিএলে উইকেটের মান বাড়াতে হবে।
বিপিএলের পিচ নিয়ে সমালোচনা পুরনো। টি-টোয়েন্টি রানের খেলা। অন্য দেশের টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে যেখানে দেদারছে রান উঠে সেখানে বিপিএলে ব্যাটারদের রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয়। মন্থর পিচে না দর্শকরা আসল আনন্দটা পান, না ক্রিকেটাররাও অন্য দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাল্লা দিতে প্রস্তুত হতে পারছেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএল খেলা পাকিস্তানের অপর তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ রিজওয়ানও আজ পিচের সমালোচনা করেছেন। বাবর আজমও করলেন।
আজ বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুশীলনের ফাঁকে বাবর সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, উইকেটের দিক থেকে বিপিএলের মান আরও বাড়াতে হবে। এখানে (উইকেট) কিছুটা কঠিন। দিনে এক রকম, রাতে অন্য রকম আচরণ করে। ধারাবাহিকভাবে বাউন্স পাওয়া যায় না আবার ধারাবাহিক স্পিনও হয় না। মাঝেমধ্যে মন্থর এবং নিচু হয়। তবে সব মিলিয়ে দলগুলো খুব ভালো।’
এবারের বিপিএলে রংপুরের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতেই হেরেছিল দলটি। তবে বাবর আজম আসর পর দলে ভারসাম্য ফিরেছে। সিলেট পর্বের তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে রংপুরই এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। সতীর্থদের সবাইকে কৃতিত্ব দিলেন বাবর, ‘দলের সবাই যেভাবে পারফর্ম করেছে, কৃতিত্ব তাদের। তিন বিভাগেই আমরা পরিশ্রম করছি।’
বাবর এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে দুটি অর্ধশতকে ২০৪ রান করে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বলেছেন সুযোগ পেলে আবারও রংপুরের হয়ে বিপিএল খেলতে চান, ‘রংপুরের হয়ে সামনেও খেলতে চাই আমি। তবে বিভিন্ন সময় আমাদের অনেক আন্তর্জাতিক খেলা থাকে। যে কারণে এখানে ধারাবাহিকভাবে আসা হয় না। এই সময় অনেক আন্তর্জাতিক সিরিজ হয়। না হলে আমি পরের বছরও খেলার ব্যাপারে আগ্রহী।’
রংপুরে দেশীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বড় আইকন সাকিব আল হাসান। অভিজ্ঞ সাকিবকে পাওয়াটা রংপুরের জন্য খুবই ইতিবাচক বলেছেন বাবর। পাকিস্তানি তারকা বলেন, ‘সাকিব ভাই-ই সিনিয়র। আমার কাছে মনে হয় রংপুর রাইডার্স এবং তরুণদের জন্য সম্মানের যে সাকিব এই দলে খেলেন। তিনি ছেলেদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন, এটা খুবই ভালো জিনিস। ড্রেসিংরুমে তিনি সব সময় ইতিবাচক ও হাস্যোজ্জ্বল থাকেন।’
সারাবাংলা/এসএইচএস