শান্তর অধিনায়কত্ব মনে ধরেছে হাথুুরুসিংহের
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৪ | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৭
কাগজে-কলমে এখন পূর্নমেয়াদে বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে সাকিবের বয়স এবং তার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে তার নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা শোনা যাচ্ছে। এদিকে, সাকিবের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে মন ভড়িয়ে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্তকে এখন দীর্ঘমেয়াদে অধিনায়কত্ব দেওয়ার সময় চলে এসেছে মনে করছেন অনেকে। হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেরও মনে ধরেছে শান্তর অধিনায়কত্ব।
সাকিবের অনুপস্থিতিতে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে অধিনায়ক শান্ত। তারপর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে জিতলেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যেখানে আগে কখনোই রঙিন পোশাকের ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
শুধু জয়ের হিসেব নয়, শান্তর বোলার ব্যবহার, ফিল্ড সেটআপ থেকে শুরু করে সার্বিক অধিনায়কত্বই নজর কেড়েছে। হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ভোটও পেলেন শান্ত।
আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। হারা ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং প্রসংশা কুড়িয়েছে। ম্যাচ শেষে হাথুরুসিংহে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে বলতে গিয়ে বুঝালেন, তাকে লম্বা সময়ের জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার সময় চলে এসেছে।
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘অবশ্যই এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আমার মনে হয় তারা বেশ ভালোভাবেই চিন্তা করবে। কিন্তু শান্ত যথেষ্ট প্রমাণ রেখেছে তাকে সিরিয়াসলি নেওয়ার।’
‘এই তরুণ দলটার কোনো ভয় নেই। তারা মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে চায়। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে শান্তর নেতৃত্ব অসাধারণ ছিল। সে ট্যাকটিক্যালি স্পট অন ছিল। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বার্তায় সে খুব পরিষ্কার ছিল। তাদের কাছে কী চায় স্পষ্ট করে বলেছে।’- যোগ করেছেন হাথুরু।
ইনজুরি এবং অন্যান্য কারণে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন চৌধুরীর মতো বেশ কয়েকজন তারকা সিনিয়র ক্রিকেটার ছিলেন না নিউজিল্যান্ড সফরে। মুশফিকুর রহিম ছিলেন শুধুমাত্র ওয়ানডে সিরিজে। সিনিয়ররা না থাকাতে কি ভিন্নভাবে খেলতে পেরেছেন তরুণরা? তাতেই কি সাফল্যটা মিলল?
এমন প্রশ্নে জল্পনা বাড়তে চাননি হাথুরুসিংহে। তবে বলেছেন, ড্রেসিংরুমের পরিবেশ এখন চমৎকার, ‘যদি আমি কিছু বলি, তাহলে নানা জল্পনা তৈরি হবে সত্যি বলতে। সিনিয়রদের এখানে না থাকার সঙ্গে তাদের অ্যাটিচিউডের কোনো সম্পর্ক নাই। আমার মনে হয় তারা তাদের ক্রিকেটটা উপভোগ করতে চেয়েছে। আমার মনে হয় ড্রেসিংরুমের পরিবেশটা বেশ ভালো। কারণ তাদের যোগাযোগটা বেশ স্পষ্ট, যেমন আমি বলেছি শান্তর পক্ষ থেকে। তারা জানে তারা যথেষ্ট ভালো প্লেয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য। আমার মনে হয় এজন্য তাদের মনে কোনো ভয় ছিল না।’
সারাবাংলা/এসএইচএস