১৬৯ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ
৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:৪০ | আপডেট: ৫ জুলাই ২০২৩ ২০:১০
মুখোমুখি লড়াইয়ে পরিসংখ্যান, দলীয় শক্তি, সম্প্রতিক রেকর্ড সব জায়গাতেই পরিস্কার এগিয়ে বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সেই অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারল না টাইগাররা। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১৬৯ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাটিং করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে জুটি হয়নি, প্রতিপক্ষকে চাপেও ফেলা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টির কারণে দুবার খেলা বন্ধ থেকেছে অনেকক্ষণ। পরে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয় ৪৩ ওভারে। বাংলাদেশ ৪৩ ওভার পুরোটা ব্যাটিং করলেও ৯ উইকেট হারিয়ে তুলেছেন ১৬৯ রান।
বেশ কিছুক্ষণ একপ্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র ফিফটি করেছেন তরুণ তৌহিদ হৃদয়। স্বাগতিকদের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন লিটন দাস, ২৬।
বুধবার (৫ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস শুরুটা করেছিলেন ধীরেসুস্থে। প্রথম ৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল কেবল ২৬।
এর মধ্যেই তামিম ইকবালকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সপ্তাম ওভারে আফগান পেসার ফজলহক ফারুকীর বলে উইকেটের পেছনে ধরা পরেছেন তামিম। ফিরেছেন ২১ বলে ১৩ রান করে। তামিম ফেরার পর তিনে নেমে দারুণ খেলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
পর পর দুই চার হাঁকিয়ে চাপ কাটিয়ে তোলার একটা আভাস দিয়েছিলেন ফর্মে থাকা শান্ত। তবে স্থায়ী হয়নি তার দারুণ শুরুটা। ১৬ বলে ১২ রান করে মোহাম্মদ নবীর বলে সুইপ করতে গিয়ে ধরা পরেছেন শর্ট ফাইন লেগে। খানিক বাদে লিটন কুমার দাসও ফিরলে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের।
মুজিব-উর রহমানের আলগা ডেলিভারিকে সীমানার বাইরে পাঠাতে চেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু শটটা ঠিকমতো টাইমিং হয়নি। বল চলে যায় সীমানায় দাঁড়ানো রহমত শাহর হাতে। ৩৫ বলে ২৬ রান করে ফিরেছেন লিটন। এরপর তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে এগুচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। তার মধ্যেই বৃষ্টির হানা।
বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় সাকিব অপরাজিত ছিলেন ১২ বলে ৪ রান করে। অপর দিকে তৌহিদ হৃদয় ৯ বলে ৮ রানে অপরাজিত। বৃষ্টির পর আবারও খেলা শুরু হলে সাকিবকে উইকেটে রীতিমতো বেঁধে রাখেন মোহাম্মদ নবি, মুজিব-উর রহমানরা। রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকা সাকিব মিস হিটে ফিরেছেন দলীয় ১০৯ রানের মাথায়।
আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ডেলিভারিটা মারার মতোই ছিল। সাকিব মেরেছেনও, তবে শটটা জায়গা মতো রাখতে পারেননি। ঝাঁপিয়ে পরে ক্যাচ নিয়েছেন মোহাম্মদ নবি। ৩৮ বলে ১৫ রান করে ফিরেছেন সাকিব। এক ওভার পর দুর্ভাগ্যজনক আউট হয়ে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম।
রশিদ খানের ডেলিভারি মুশফিকের প্যাডে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত করে। ৩ বলে ১ রান করে বোল্ড আউট হয়েছেন মুশফিক। কিছুক্ষণ পর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন রশিদ খান। ১২৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যে বেশিদূর যেতে পারবে না সেটা তখনই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
আটে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজ হৃদয়কে সঙ্গ দিতে পারেননি। ফজলহক ফারুকীর বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ২৩ বলে করেছেন ৫ রান। অন্যদের বিপদের দিনে লোয়ার অর্ডারে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমানরা সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৪৩ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে থেমেছে বাংলাদেশ।
তৌহিদ হৃদয় ৬৯ বল খেলে ৩টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে আউট হয়েছেন। আফগানিস্তানের পক্ষে ২৪ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন ফজলহক ফারুকী। রশিদ খান ২১ রানে ও মুজিব উর রহমান ২৩ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসএইচএস