নিজেরা কেঁপে আফগানদেরও কাঁপাচ্ছে বাংলাদেশ
১৫ জুন ২০২৩ ১২:৪২ | আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩ ১২:৪৬
মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা পেসারদের। আফগানিস্তানের দুই পেসার নিজাত মাসুদ ও ইয়ামিন আহমেদজায়ের তোপে আজ সকালে মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে পাঁচ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা এর জবাবও দিচ্ছেন বেশ ভালোভাবেই। বোলিং করতে নেমে ৩৫ রানেই আফগানদের তিন উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। তিনটিই পেয়েছেন পেসাররা।
অর্থাৎ মিরপুর আজ প্রথম সেশনেই পরেছে ৮ উইকেট, আটটিই পেয়েছেন পেসাররা! পেসারদের দাপট ছাপিয়ে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশই এগিয়ে। কারণ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৩৮২ রানে। অর্থাৎ এখনো ৩৪৭ রানে পিছিয়ে আফগানিস্তান।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানদের প্রথম আঘাতটা দেন শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের দারুণ এক সুইং বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ইব্রাহিম জাদরান। আফগান ওপেনার ফিরেছেন ৬ রান করে।
খানিক বাদে আব্দুল মালিককে ফেরান ইবাদত হোসেন চৌধুরী। ইবাদতের দারুণ এক বাউন্স বল সামলাতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন আব্দুল মালিক। তিনি ফেরার আগে করেন ১৭ রান। দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে আবারও উইকেট পেয়েছেন ইবাদত।
ইবাদতের লাফিয়ে উঠা বলে তাসকিন আহমেদের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন রহমত শাহ। আফগানদের অভিজ্ঞ ব্যাটার ফিরেছেন মাত্র ২ রান করে।
এর আগে দিনের শুরুতে আফগানিস্তানের পেসে কেঁপেছে বাংলাদেশ। গতকাল ৪১ রানে দিনের খেলা শেষ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম, মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে। দুজন ফিফটির কাছাকাছি থাকলেও ফিফটি পাননি একজনও। আফগানিস্তানের অভিষিক্ত পেসার নিজাত মাসুদ ও ইয়ামিন আহমেদজায়ের বিপক্ষে সকালে স্রেফ উড়ে গেছে বাংলাদেশের মিডল-লোয়ার আর্ডার।
আজ শুরুতেই মিরাজকে ফেরান ইয়ামিন আহমেদজাই। ইয়ামিনের বলে চালিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে আমির হামজার দুর্দান্ত এক ক্যাচ হয়েছেন মিরাজ। ফিরেছেন ৪৮ রানে।
পরের ওভাবেই ফিরেছেন মুশফিক। নাজিত মাসুদের সু্ইং বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন মুশফিক। ফেরার আগে ৭৬ বল খেলে ৪টি চারের সাহায্যে ৪৭ রান করেছেন।
এই দুজন ফেরার পর বাংলাদেশের শেষ চার ব্যাটারের একজনও দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। পাঁচ উইকেটে ৩৬২ রানে দিন শুরু করা বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৩৮২ রানেই। আফগানিস্তানের হয়ে নিজাত মাসুদ ১৬ ওভারে ৭৬ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। ৩৯ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন ইয়ামিন আহমেদজাই।
সারাবাংলা/এসএইচএস