ডিপিএল শিরোপা পুনরুদ্ধার আবাহনীর
১৩ মে ২০২৩ ১৭:৩৩
গেল মৌসুমেই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) শিরোপা হারিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। এক মৌসুম পরেই শিরোপা পুনরুদ্ধার করল আবাহনী। শনিবার (১৩ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অলিখিত ফাইনালে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ২২তম শিরোপা ঘরে তুলেছে আবাহনী। লিস্ট এ মর্যাদা পাওয়ার পর এটি আবাহনীর পঞ্চম শিরোপা।
আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ২৮২ রানের পুঁজি দাঁড় করায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে আবাহনী। নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১৪৫। এরপর দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারালেও আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে ৪ বলে হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় আবাহনী। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় আবাহনীর শিরোপা পুনরুদ্ধার।
শেখ জামালের ছুঁড়ে দেওয়া ২৮৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকে আবাহনীর দুই ওপেনার। দুই ব্যাটার অর্ধ শতক তুলে নিয়ে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু দলীয় ১৪৫ রানে তাইবুর রহমানকে সামনে এগিয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে আরিফ আহমেদের তালুবন্দি হন নাঈম। ৭৯ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন তিনি। এর ৪ রান পরই সাজঘরে ফেরেন বিজয়। ৮১ বলে ফেরেন ৭২ রান করে। খানিক পর তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয়ও বিদায় নেন দ্রুত। ১৮ বলে ৯ রান করে তাইবুরের শিকার হরে ফেরেন তিনি। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পরে আবাহনী।
আফিফ শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে দলকে জয়ে এনে দিলেও জাকের আলী ফেরেন দলীয় রান ২০০ ছোঁয়ার আগেই। ২৮ বলে ২১ রান করেন তিনি। তবে সঙ্গী হারালেও মোসাদ্দেককে নিয়ে জুটি গড়ে জয়ের পথে হাঁটতে থাকেন আফিফ। জয় থেকে মাত্র ২৪ রান দূরে থাকতে ফেরেন মোসাদ্দেকও। এরপর খুশদিলও ফেরেন দ্রুতই। তবে উইকেটের অপরপ্রান্ত আঁকড়ে রাখেন আফিফ। আর শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটার।
৫৩ বলে ৪টি চার আর দুটি ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেখ জামালের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন পারভেজ রসুল এবং তইবুর রহমান। এছড়া একটি করে উইকেট নেন আরিফ আহমেদ এবং সাইফ হাসান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শেখ জামাল। স্কোরবোর্ডে ১৬ রান উঠতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার ফেরেন প্যাভিলিয়নে।এরপর ফজলে মাহমুদ এবং তইবুর রহমানের ব্যাটে ভর করে বিপর্যয় সামাল দেয় শেখ জামাল। দেখে শুনে দুই ব্যাটারই হাঁটতে থাকেন অর্ধ শতকের পথে। তবে দলীয় রান ১০০ হওয়ার আগে ৭০ বলে ৪০ রান করে বিদায় নেন রাব্বি। এরপর ক্রিজে এসে তাইবুরকে নিয়ে জুটি গড়েন নুরুল হাসান।
তাদের ব্যাটে দেড়শোর পথে হাঁটলেও দলীয় ১৩৯ রানে তাইবুর ফেরেন অর্ধশতক ছুঁয়ে। ৮৫ বলে ৫৩ রান করে এই ব্যাটার বিদায় নিলেও পারভেজ রসুলকে নিয়ে দলের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যান নুরুল। এই জুটিতে দল পৌঁছে যায় ২০০’র ঘরে। অধিনায়ক সোহানও তুলে নেন অর্দশতক। ৭০ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর তাতেই শেখ জামালের পুঁজি দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৮২ রানের। আবাহনীর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম এবং তানজিব হাসান সাকিব। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন খুশদিল শাহ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
সারাবাংলা/এসএস
আবাহনী আবাহনী লিমিটেড টপ নিউজ ডিপিএল ডিপিএল ২০২৩ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব