সিলেটকে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০৮ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৩৮
আগে বোলিং করে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১২৫ রানেই আটকে রেখে কাজটা গুছিয়েই রেখেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শক্তিশালী বোলিং ডিপার্টমেন্ট। পরে জবাব দিতে নেমে সুনীল নারিনের শুরুর ঝড় এবং পরে মঈন আলী ও আন্দ্রে রাসেলের কার্যকারি দুটি ইনিংসে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে কুমিল্লা।
দারুণ এই জয়ে নবম বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করল কুমিল্লা। মাশরাফি বিন মুর্তজার সিলেট এখন খেলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালকে বিদায় করে যেখানে আগে থেকেই উঠে বসে আছে রংপুর রাইডার্স। ওই লড়াইয়ে জেতা দল হবে ফাইনালের দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ।
এবারের বিপিএলে কুমিল্লার শুরুটা হয়েছিল বড্ডই বাজে। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচ জিততে পারেনি দলটি। তবে তারপর হারেনি এক ম্যাচও। তিন হারের পর টানা ১০ জয়ে ফাইনাল!
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটের ১২৫ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতে ঝড় তুলেছিলেন কুমিল্লার হয়ে ওপেনিং করতে নামা সুনীল নারিন। নারিন ঝড় ছাপিয়ে অন্য প্রান্ত থেকে অবশ্য নিয়মিত উইকেট তুলে নিতে পারছিল সিলেট।
অপর ওপেনার লিটন দাস ১০ বলে ৭ রান করে আউট হয়েছেন। তিনে নেমে জনসন চার্লস রান আউট হয়েছেন ৪ রান করে। মিডল অর্ডারে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও (১৫ বলে ১৩ রান) সুবিধা করতে পারেননি। তবে ইংলিশ তারকা মঈন আলী ও ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল বড় ম্যাচে জ্বলে উঠেন ঠিকই।
পরপর উইকেট হারিয়ে দলের বিপদ যখন বাড়ছিল ছয়ে নেমে মঈন আলী বেছে নেন পাল্টা আক্রমণের পথ। মাত্র ১৩ বলে ১টি চার ২টি ছয়ে ২১ রান করেছেন মঈন। আন্দ্রে রাসেল আট নম্বরে নেমে ১০ বলে ১৫ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। মাঝের ওভারগুলোতে ইনিংস টেনে নেওয়ার দায়িত্ব পালন করা মোসাদ্দেক হোসেন অপরাজিত ছিলেন ২৭ বলে ২৭ রান করে। ওপেনিংয়ে নামা নারিন মাত্র ১৮ বলে ৩৯ রান করেছেন। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের ইনিংসে চারের মার ৩টি, ছক্কা ৪টি। ১৬.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৩০ রান তুলে ফেলে কুমিল্লা।
সিলেটের হয়ে ৩৩ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিব হাসান সাকিব ও শফিকুল্লাহ গাফারি।
এর আগে কুমিল্লার বোলিং দাপটে সিলেটের ইনিংস থেমে যায় ১২৫ রানেই। আগে ব্যাটিং করতে নেমে সিলেটের শুরুটা হয়েছে একদমই যাচ্ছে-তা। শফিকুল্লাহ গাফারির সঙ্গে দলীয় ১৬ রানের মধ্যে ফিরে যান দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসানও। এরপর পাঁচে নেমে পরেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
প্রতিপক্ষের বোলিং পরিকল্পনা ভেস্তে দিতেই হয়তো মাশরাফির আগাম আগমন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সফল অধিনায়ক দারুণ কার্যকরী একটা ইনিংস খেলেছেনও। ২টি করে চার ছয়ে ১৭ বলে ২৬ রান করেছেন মাশরাফি। ছয়ে নেমে মুশফিকুর রহিম ভালো খেলতে খেলতেই ফিরে যান ২২ বলে ২৯ রান করে। তানভীর ইসলাম, আন্দ্রে রাসেল, মোস্তাফিজুর রহমান, সুনীল নারিনদের নিয়ে গড়া কুমিল্লার দাপুটে বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বড় স্কোর গড়তে পারেনি সিলেট।
১৭.১ ওভারে ১২৫ রানেই গুটিয়ে গেছে সিলেট। ২৯ বলে ৪টি চার ১টি ছয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। কুমিল্লার হয়ে তানভির ইসলাম ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন। ৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। মোস্তাফিজুর রহমান ৩ ওভারে ২৫ রান খরচায় নিয়েছেন দুই উইকেট। সুনীল নারিন মাত্র ১টি উইকেট পেলেও ৩.১ ওভারে রান খরচ করেছেন মাত্র ৮।
সারাবাংলা/এসএইচএস