মালিকের ব্যাটে রংপুরের তৃতীয় জয়
২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৮ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫০
শোয়েব মালিকের দুর্দান্ত এক ফিফটিতে ১৭৯ রানের বড় স্কোর গড়েছিল রংপুর রাইডার্স। পরে জবাব দিতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শুরুটা ভালো না হলেও মাঝে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন অধিনায়ক শুভাগত হোম, জিয়াউর রহমানরা। তবে এই দুজন ফেরার পর শেষটা হলো ভূতুড়ে। মাত্র ১৯ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানে গুটিয়ে গেছে চট্টগ্রাম।
যাতে শেষ পর্যন্ত ৫৫ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। নবম বিপিএলের ষষ্ঠ ম্যাচে রংপুরের এটা তৃতীয় জয়। অপর দিকে সপ্তম ম্যাচ খেলতে নেমে পঞ্চম হারের স্বাক্ষী হলো চট্টগ্রাম।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৭৯ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় অফ ফর্মে থাকা চট্টগ্রাম। রংপুরের তরুণ স্পিনার রাকিবুল হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি।
সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরী ও অভিজ্ঞ জিয়াউর রহমান। দুজনের ব্যাটে ম্যাচ বেশ জমেও উঠেছিল। কিন্তু দুজনের কেউই দায়িত্ব নিয়ে দলের প্রয়োজনে লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি। তাছাড়া এই দুজন ফেরার পর চট্টগ্রামও ভেঙে পড়েছে হুড়মুড় করে।
১৬.৩ ওভারে ১২৪ রানে গুটিয়ে গেছে রংপুর। ৩১ বলে ৪টি করে চার-ছয়ে ৫২ রান করেন শুভাগত হোম। জিয়াউর রহমান ১২ বলে ২৪ রান করেন ১টি চার ৩টি ছয়ের সাহায্যে। ১৭ বলে ২১ করেছেন দউরিচ রাসুলী।
রংপুরের হয়ে পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ ৩.৩ ওভারে ১৭ রান খরচায় নিয়েছেন তিন উইকেট। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় দুটি উইকেট নিয়েছেন তরুণ স্পিনার রাকিবুল।
এর আগে রংপুরের ইনিংসটা এগিয়েছে দুই বিদেশি শোয়েব মালিক ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটে। আগে ব্যাটিং করতে নামা রংপুরের শুরুটাও ভালো ছিল না। ওপেনিংয়ে নামা মেহেদি হাসান ও তিনে নামা পারভেজ হোসেন ইমন দুই অঙ্কের কোটাই পেরুতে পারেননি। অপর ওপেনার নাঈম শেখ ৩৪ রান করলেও খেলেছেন ২৯ বল।
তবে শোয়েব মালিক ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের জুটিতে পাল্টে গেছে রংপুরের ইনিংসের গল্প। চতুর্থ উইকেটে ৫৩ বলে ১০৩ রান তোলেন দুজন। ওমরজাই ২৪ বলে ১টি চার ৪টি ছয়ে ৪২ রান করে ফিরেছেন। শোয়েব মালিক অপরাজিত ছিলেন শেষ অবদি।
৪৫ বলে ৫টি করে চার-ছয়ে ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানে থেমেছে রংপুর। চট্টগ্রামের হয়ে পেসার মেহেদি হাসান রানা ৩৯ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসএইচএস