Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লিভারপুলকে হারিয়ে রিয়ালের ১৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়

স্পোর্টস ডেস্ক
২৯ মে ২০২২ ০৩:৫০ | আপডেট: ২৯ মে ২০২২ ১১:৫৩

ফ্রান্সের প্যারিসে ২০২১/২২ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে লিভারপুলকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ১৪তম শিরোপা ঘরে তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র।

মোহাম্মদ সালাহ, সাদিও মানেদের মুহুর্মুহ আক্রমণ একাই ঠেকিয়েছেন থিবো কোর্তোয়া। রিয়াল মাদ্রিদকে একাই ধরে রেখেছিলেন ম্যাচে। মাঠে আক্রমণের হিসেবে লিভারপুলের দাপট কতটা ছিল, তা ম্যাচ পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট ফুটে উঠছে। গোলের উদ্দেশ্যে ২৪টি শট নেয় তারা, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। সেখানে রিয়াল নিতে পারে মোটে চার শট, লক্ষ্যে মাত্র দুটি।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়ালের ওপর চাপ সৃষ্টি করে লিভারপুল। ২১তম মিনিটে গোলের দুর্দান্ত এক সুযোগ তৈরি করে লিভারপুল। তবে কোর্তোয়ার অসাধারণ সেভে রক্ষা পায় রিয়াল। ডি-বক্সের বাইরে থেকে সাদিও মানের জোরাল নিচু শটে ঝাঁপিয়ে কোনোমতে রুখে দেন এই বেলজিয়ান।

একের পর এক আক্রমণে রিয়ালের রক্ষণের পরীক্ষা নিয়েই যাচ্ছিল অল রেডরা। ম্যাচের মাত্র ২৮ মিনিটে মধ্যে ৬টি শট নেয় লিভারপুল, যার মধ্যে চারটি ছিল লক্ষ্যে। এই সময়ে রিয়াল কোনো শটই নিতে পারেনি। এরপর পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করলেও পারছিল না তারা। উল্টো ৩৪তম মিনিটে আবারও ডি-বক্সে দারুণ পজিশনে বল পেয়ে যান সালাহ। যদিও আবারও গোলরক্ষক সোজা হেড করে নিয়ে হতাশ করেন তিনি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে এসে গোলের দেখা পেয়েছিল রিয়াল। ৪৩তম মিনিটে করিম বেনজেমা দুর্দান্ত এক গোল করেন। তবে এই গোলের জন্যই প্রায় দুই মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। মাঝমাঠের কাছ থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়েও গোলরক্ষক এগিয়ে আসায় শট নেওয়ার জায়গা পাননি বেনজেমা। বল হারিয়েও ফেলেন তিনি, অবশ্য আলিসন ও ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতের ভুলে লিভারপুলও পারেনি বল ক্লিয়ার করতে।

বিজ্ঞাপন

এরপর ফ্যাবিনহো আর কোনাতের কাছ থেকে বল দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন ফেদে ভালভার্দে। তবে শেষ পর্যন্ত ভালভার্দে পারেননি তবে তাদের বল কাড়াকাড়ির মাঝেই ফাঁকায় পেয়ে যান বেনজেমা। এবার আর জালে পাঠাতে ভুল করেননি তিনি। তবে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ভিএআর অনেক সময় নিয়ে দেখে অফসাইডের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। শেষবার বেনজেমা বল পাওয়ার সময় শেষ খেলেয়াড় হিসেবে তার পেছনে ছিলেন অ্যান্ড্রু রবার্টসন।

দ্বিতীয়ার্ধেও লিভারপুল নিজেদের আক্রমণের ধার ধরে রাখে। তবে প্রতি আক্রমণে ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে অলরেডদের থমকে দেয় রিয়াল। ডি-বক্সে ডান দিক থেকে ভালভার্দের অসাধারণ এক কোনাকুনি পাস বাড়ান গোলমুখে। ওখান থেকে বিনা বাধায় বল জালে পাঠাতে ভিনিসিয়াস কেবল একটা ছোঁয়ারই দরকার ছিল। গোলের উদ্দেশ্যে ও লক্ষ্যে এটা ছিল রিয়ালের দ্বিতীয় শট। যেখানে ওই সময়ের মধ্যে লিভারপুলের ১০ শটের ৫টি ছিল লক্ষ্যে। মৌসুমে জুড়ে দুর্দান্ত খেলা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল হলো চারটি।

একবিংশ শতাব্দীতে জন্ম নেওয়া প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গোল করলেন ২০০০ সালের ১২ জুলাই জন্ম নেওয়া ভিনিসিয়াস।

৬৪তম মিনিটে আবারও দুর্দান্ত কোর্তোয়া। হ্যান্ডারসনের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন সালাহ। তবে তার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান রিয়াল গোলরক্ষক। পাঁচ মিনিট পর আবারও সালাহকে হতাশ করেন কোর্তুয়া। দিয়াগো জোটার হেড থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শট নেন এ মিশরীয় তারকা। তবে পা দিয়ে দারুণ দক্ষতায় ঠেকান কোর্তোয়া।

৭৪তম মিনিটে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের শটে কেবল পা লাগাতে পারলেই গোল পেতে পারতেন জোটা। ছয় মিনিট পর তো গোললাইন থেকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান কোর্তুয়া। সালাহর শট জটার পা লেগে দিক বদলে জালের দিকেই যাচ্ছিল। ৮২তম মিনিটে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে মারেন বদলি খেলোয়াড় নেবি কেইটা।

৮২তম মিনিটে আবারও অবিশ্বাস্য কোর্তুয়া। সালাহর শট ঝাঁপিয়ে থাকেন এ গোলরক্ষক। এরপরও আরও কিছু সুযোগ ছিল দলটির। অলআউট খেলায় পাল্টা আক্রমণ থেকে সুযোগ ছিল রিয়ালেরও। তবে আর গোল না হলে ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লস ব্লাঙ্কোসরা।

আর তাতেই ১৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ঘরে তোলে অল হোয়াইটসরা।

সারাবাংলা/এসএস

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ টপ নিউজ রিয়াল মাদ্রিদ বনাম লিভারপুল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর