পোর্ট এলিজাবেথে বাংলাদেশের হতাশার দিন
৯ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪০ | আপডেট: ৯ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৭
তাইজুল ইসলাম একাই ছয় উইকেট নিলেও পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত থেমেছে ৪৫৩ রানে। আজ বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসটা হলো আরও হতশ্রী। ১২২ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পুরোটাই হতাশার কেটেছে বাংলাদেশের।
কেশভ মহারেজের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে আজ বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসের শেষটা হয়েছে হতাশার। ব্যাটিংটা হলো আরও যন্ত্রণার। দ্বিতীয় দিন শেষে ৩১৪ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। হাতে আছে পাঁচ উইকেট। ৩০ রানে দিন শেষ করেছেন মুশফিকুর রহিম। ইয়াছির আলি রাব্বি অপরাজিত আছেন ৮ রানে।
ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটাই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ফিরেছেন রান তোলার আগেই। অনেকদিন পর টেস্ট খেলতে নামা অপর ওপেনার তামিম ইকবাল অবশ্য খেলেছেন দুর্দান্ত। তিনে নামা নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৯ রান তুলেছেন তামিম।
তামিম যেভাবে এগুচ্ছিলেন তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহকে খুব বড় মনে হচ্ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। উয়ান মুল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৫৭ বলে ৪৭ রান করেছেন ৮টি চারের সাহায্যে। এরপর মাত্র ৩৭ রানের ব্যবধানে নাজমুল হোসেন শান্ত, অধিনায়ক মুমিনুল হক ও লিটন কুমার দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সফরকারীদের ব্যাটিংয়ের রীতিমতো কোমড় ভেঙে যায় সেখানে। অনেকদিন ধরে অফফর্মে থাকা মুমিনুল হক ম্যাচের আগে বলেছিলেন, রান না পাওয়াতে মোটেও চিন্তিত নন তিনি। তবে পোর্ট এলিজাবেথের প্রথম ইনিংসেও রান পেলেন না অধিনায়ক। মুল্ডারের বলে ফেরার আগে মাত্র ৬ রান করেছেন। মুল্ডারের বলে ফিরেছেন ধীরে এগুনো নাজমুল হোসেন শান্তও (৩৩)। খানিক বাদে দারুণ শুরু করা লিটন ১৪ বলে ১১ রানে ফিরলে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ।
সেই শঙ্কা কাটিয়ে তুলতে দিনের শেষ পর্যন্ত লড়েছেন মুশফিক ও ইয়াছির। এই জুটির পর বাংলাদেশের পক্ষে স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে অপরাজিত আছেন কেবল মেহেদি হাসান মিরাজ।
এর আগে ৫ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস শেষ পর্যন্ত থেমেছে ৪৫৩ রানে। যাতে বড় অবদান কেশভ মহারাজের। মূলত স্পিনার হিসেবে খেলা কেশভ আজ ব্যাটিং করেছেন ঝাঁনু ব্যাটারের মতো। ৯৫ বল খেলে ৯টি চার ৩টি ছয়ে ৮৪ রান করেছন মহারাজের।
বাংলাদেশের হয়ে ৫০ ওভার বোলিং করে ১৩৫ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ১০০ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন খালেদ আমেদ। বাকি উইকেট মেহেদি হাসান মিরাজের।