এমসিসি’র সিদ্ধান্ত মানকাডিং এখন ‘ফেয়ারপ্লে’
৯ মার্চ ২০২২ ১৪:০১ | আপডেট: ৯ মার্চ ২০২২ ১৭:৪৫
ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) নিয়ে এলো বড় এক পরিবর্তন। এবার থেকে মানকাডিং ‘ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী’ নয়, বিবেচিত হবে রানআউট হিসেবে। ক্রিকেটের আইনের ৪২.১৫ ধারা অনুযায়ী ‘মানকাডিং’ সব সময়ই বৈধ আউট। গেল সপ্তাহে এমসিসি’র এক সভায় প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে মানকাডিংকে সাধারণ রানআউটের পর্যায়ভুক্ত করার। এ ছাড়া আরও কিছু বদল আনা হয়েছে ক্রিকেটের আইনে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এটি চালু করা হবে বলে জানা গেছে।
এমসিসি’র এই মানকাডিং নিয়ে নিয়ম বদলের অর্থ হলো, নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটার বোলিংয়ের আগে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এলে তাকে রানআউট করা যাবে। তখন এটিকে আর কেউই ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী বলবেন না। এত দিন মানকাডিংকে ‘আনফেয়ার প্লে’ (আইন-৪১) হিসেবে ধরা হতো। এখন থেকে এটি বিবেচিত হবে ‘ফেয়ার প্লে’ হিসেবে। এটিকে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে রানআউট হিসেবে (আইন ৩৮)।
১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া-ভারত টেস্টে বোলিংয়ের সময় ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার বিল ব্রাউনকে আউট করেছিলেন ভারতের ভিনু মানকড়। তিনি সফরের একটি প্রস্তুতি ম্যাচেও এমনভাবে আউট করেছিলেন আরেক ব্যাটারকে। ভারতীয় ক্রিকেটারের ভিনু মানকড় ‘অখেলোয়াড়সুলভ’ আচরণের কড়া সমালোচনা করেছিল অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যম।
এবার সেই অখেলোয়াড়সুলভ আচরণটিকেই যুক্ত করা হলো ‘ফেয়ারপ্লে’ হিসেবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো পর্যন্ত বেশ কয়েকবার মানকাডিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। কপিল দেব, গ্রেগ চ্যাপেলরা মানকাডিংয়ের জন্য হয়েছেন সমালোচিত। ২০১৪ সালে শ্রীলংকান ক্রিকেটার সচিত্র সেনানায়েক দুবার মানকাডিং করেন ইংল্যান্ডের জস বাটলারকে। সেটি নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। এর আগে ২০১২ সালে শ্রীলংকার লাহিরু থিরিমান্নেকে মানকাডিং করেছিলেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই অশ্বিনই আইপিএলে মানকাডিং করে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন।
সারাবাংলা/এসএস