আইপিএলে দল পেলেও সাকিব কি ছুটি নিত— বিসিবি প্রধানের প্রশ্ন
৭ মার্চ ২০২২ ২২:০৪ | আপডেট: ৭ মার্চ ২০২২ ২২:০৮
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে খানিক বিরতি নিতে চান সাকিব আল হাসান। কদিন পরেই জাতীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। এর মধ্যেই একদিন আগে সাকিব জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য মানসিক ও শারীরিক দিক দিয়ে ফিট নন তিনি। সাকিবের এমন কথায় প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন প্রশ্ন তুললেন, আইপিএলে দল পেলেও কি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার কথা বলত সাকিব?
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সাকিবের টেস্ট খেলা নিয়ে প্রশ্ন ছিল আগে থেকেই। একই সময়ে আইপিএল বলে আগেই টেস্ট সিরিজ না খেলার জন্য বোর্ডকে চিঠি দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু পরে আইপিএলের দলই পাননি সাকিব।
আফগানিস্তান সিরিজে বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে তার। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলতে অসুবিধা নেই সাকিবের। পরে তারকা অলরাউন্ডারকে রেখেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু গতকাল দেশ ছাড়ার আগে মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট না থাকার কথা জানান সাকিব।
এবাারের আইপিএল শুরু হতে আর বেশি সময় বাকি নেই। বিসিবি সভাপতির প্রশ্ন আইপিএলে দল পেলেও কি ক্রিকেট থেকে ছুটি নিতে চাইতেন সাকিব?
সোমবার (৭ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় পাপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা কীভাবে জানব? কে জানে? মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলে আইপিএল খেলতে চাচ্ছিল কেন? আমি বুঝলাম না। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলে তো বলত, “আমি আইপিএলও খেলব না।” ধরুন, ওকে আইপিএলে নেওয়া হলো। তখন কি ও বলত যে ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত? আমার মাথায়ই ঢুকছে না।’
গতকাল সাকিব বলেছিলেন, গত আফগানিস্তান সিরিজেও মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। পুরো সিরিজেই নাকি নিজেকে দলের বোঝা মনে হয়েছে! সে প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের স্বপ্ন হলো জাতীয় দলের জন্য খেলা। আর যদি দল জিতে আর সেই খেলোয়াড় যদি সেই দলে থাকে, তাহলে এর চেয়ে খুশির আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু সাকিব বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, কোনো সিরিজই সে উপভোগ করেনি! আমরা যে ওয়ানডে সিরিজটা জিতলাম, এটাও সে উপভোগ করেনি! টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচটা জিতলাম, সেটাও উপভোগ করেনি! কেন?’
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘ওর (সাকিব) এসব কথাবার্তা নিয়ে আমি মোটেও বিচলিত নই। ও হয়তো শারীরিক ও মানসিকভাবে, কোনো কিছু নিয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। সেটা হতেই পারে। ওর যদি কোনো সমস্যা থাকে, আমাদের সঙ্গে আলাপ করতে পারে। কিন্তু (রাতে) বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় টেলিফোনে বলে দেওয়া, এটা না। এখন তো সুযোগ আছে। এখন তো বায়ো-বাবল নাই, খেলা শেষ। ও তো আমাদের সঙ্গে দিনের বেলায় বসতে পারত। ও আমাদের সঙ্গে আলাপ না করলে (টিম ডিরেক্টর) খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে বসতে পারত, কোচের সঙ্গে বসতে পারত। এরকম হঠাৎ করে একেকটা চমক দেওয়া… কেন করছে! তবে অনেকে আবার এটা পছন্দ করে।’