সিডন্সের লক্ষ্য ‘আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়া’
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৩৮ | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৫২
চট্টগ্রাম থেকে: ২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন জেমি সিডন্স। দশ বছর পর সেই সিডন্স বাংলাদেশে এসেছেন ব্যাটিং কোচ হয়ে। দেখছেন দশ বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট পাল্টে গেছে অনেকটা। কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার নিয়মিত পারফর্ম করছেন। জুনিয়ররাও প্রতিভার জানান দিয়ে চলেছেন। অন্য দুই ফরমেটে নিয়মিত সাফল্য না মিললেও ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজেদের শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে বাংলাদেশ। তবে বিদেশের মাটিতে বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে বাংলাদেশের এখনো দৈন্যতার দশা। জেমি সিডন্সের নজর সে দিকেই।
সিডন্সের মতে, বাংলাদেশের বর্তমান দল ভালো। আরও একধাপ এগিয়ে যেতে হবে বিদেশে সাফল্য পেতে। সেভাবে প্রস্তুত করাই এখন সিডন্সের টার্গেট।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয়টি মাঠে গড়াবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। আজ ঐচ্ছিক অনুশীলন ক্রিকেটারদের। অনুশীলনের ফাঁকে সিডন্স গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার কাজ অর্ধেক হয়ে গেছে, কারণ দলে অনেক ভালো ক্রিকেটার আছে। তবে এখানে আফগানদের তিন স্পিনারকে খেলতে হচ্ছে। এটা মোটেও সহজ না। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে খেলতে গেলে ফাস্ট বোলার থাকবে চারজন। আমাদের ওই কন্ডিশনে ভালো করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমরা ভালো দল। আমাদের ভালো করে যেতে হবে। ছেলেদের আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে হবে দেশের বাইরে ভালো করার জন্য।’
গত ডিসেম্বরে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তবে ঠিক কোন ভূমিকায় এবং কাদের নিয়ে কাজ করবেন সেটা চূড়ান্ত ছিল না তখন। বাংলাদেশের তৎকালিন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স কিছু দিন আগে পদত্যাগ করায় সেই জায়গায় সিডন্সের নাম ঘোষণা করা হয়।
চলতি আফগানিস্তান সিরিজ থেকে দলের সঙ্গে কাজ শুরু করলেও মাসখানেক আগে বাংলাদেশে এসেছেন সিডন্স। বিপিএল চলাকালে ঘুরে ঘুরে খেলা দেখেছেন। এই কদিনে শুধু মুগ্ধই হয়েছেন সাবেক প্রধান কোচ।
সিডন্স বলেন, ‘এখানে ৪-৫ জন ৬ ফুট উচ্চতার পেসার আছে যারা ১৪০এর বেশি গতিতে বল করে। এটা আমার কাছে দারুন রোমাঞ্চের। তোমাদের এখনও পৃথিবীর সেরা অলরাউন্ডার আছে যে কিনা প্রতি ম্যাচেই পারফরম করে। আমি ইতিমধ্যে কিছু তরুণ প্রতিভা দেখেছি দুই ম্যাচে – আফিফ, মিরাজ ও লিটন। তারা কোয়ালিটি, ক্লাসি এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে পারে এমন ক্রিকেটার। ওরা যত বেশি খেলবে ততই বড় ম্যাচে পারফরমের যোগ্য হয়ে উঠবে। গত দুই ম্যাচে আমাদের জন্য চাপের ম্যাচ ছিল। আমাদের জিততেই হতো। তরুনরা সামনে থেকে ম্যাচ জিতিয়েছে, যা দেখাটা দারুন। অভিজ্ঞরা যে কোন সময় পারফরম করবে কিন্তু তরুণদের তাদেরকে সাহায্য করতে হবে। এখন বাংলাদেশ দলে এটাই হচ্ছে যা দারুণ।’