ডমিঙ্গো ও জেমি প্রসঙ্গে তামিম— দূরত্বে ভালো কিছু হয় না
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:১৭ | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:০৯
চট্টগ্রাম থেকে: জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং প্যানেল নিয়ে আলোচনা অনেক দিনের। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সেটা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এদিকে ডিসেম্বরে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে পুরনো হেড কোচ জেসি সিডন্সের যোগদান আলোচনা অন্যদিকে ঘুড়িয়ে দেয়। প্রশ্ন উঠছিল, কোন ভূমিকায় দেখা যাবে সিডন্সকে। কারণ সেই সময় জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করছিলেন অ্যাশওয়েল প্রিন্স। সিডন্সের দায়িত্ব বন্টন জটিলতা আপাতত অবসান, ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। আলোচনা থামিয়ে দিতে চাইলেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালও। বলেছেন দূরত্ব দিয়ে ভালো কিছু হয় না। সবাই একত্রে মিলেই বাংলাদেশ দল।
জেমি সিডন্স ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই আলোচনা হচ্ছিল তিনিই হবেন জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ। আর সেই সময়কার ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্সকে দেওয়া হবে এইচপির দায়িত্ব। বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেননি বলে পদত্যাগ করেছেন প্রিন্স।
এদিকে, প্রিন্সের পদত্যাগ হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো কিভাবে নেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। কারণ স্বদেশী প্রিন্সকে ডমিঙ্গোই পছন্দ করে এনেছিলেন। তাছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ডমিঙ্গোর পারফরম্যান্স নিয়েও উঠছিল প্রশ্ন। ডমিঙ্গোও ‘বিদায়ে’র সিদ্ধান্ত নেন কিনা এমন আলোচনাও হচ্ছিল। তবে এসবকে পাশ কাটিয়ে ঠিকই আফগানিস্তান সিরিজের আগে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ।
আফগান সিরিজকে সামনে রেখে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ ব্যাটিং কোচ হিসেবে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জেমি সিডন্সও। তামিম ইকবাল বললেন, সবাইকে নিয়েই বাংলাদেশ দল।
বুধবার মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি। আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দুই কোচ প্রসঙ্গে প্রশ্নে তামিম বলেন, ‘রাসেল ও জেমি… আমরা একটা দল। রাসেল প্রধান কোচ হয়ে এই দলের অংশ। জেমি ব্যাটিং কোচ হয়ে এই দলের অংশ। আমার মনে হয় না এটা আমরা আলাদাভাবে চিন্তা করছি বা দেখার দরকার আছে। যারা এই সেট-আপে আছে, তারা মিলেই বাংলাদেশ দল। ম্যানেজমেন্ট বলুন, খেলোয়াড় বলুন, আমরা সবাই এক। এভাবেই আমরা এগোতে চেষ্টা করব। দূরত্ব থাকলে ভালো কিছু হবে না। খেলোয়াড়-স্টাফ আমরা সবাই জানি, আমরা একটি দল। ভালো খেলি, খারাপ খেলি, একসঙ্গেই থাকব আমরা।’
২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ ছিলেন জেমি সিডন্স। বড় দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের অভ্যাস গড়ে উঠা তার অধীনেই। সেই সময়ে তরুণ সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের ব্যাটিংয়ে উন্নতিতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। তামিমের প্রত্যাশ, এখনকার তরুণরাও অনেক শিখতে পারবেন জেমির কাছ থেকে।
তামিম বলেন, ‘জেমি বাংলাদেশে অনেক বড় প্রভাব রাখতে পারে। তাঁর যে অভিজ্ঞতা বা তাঁর সঙ্গে কাজ করার যে অভিজ্ঞতা আমাদের আছে… আমি নিশ্চিত তরুণরা এতে অনেক উপকৃত হবে। তবে একজন কোচ ১০টা পথ দেখিয়ে দেবে, আপনার বুঝতে হবে কোন ২-৩টি আপনার কাজে লাগবে। সবকিছু শুনলে কাজ না-ও হতে পারে। নিজের দায়িত্বে বুঝতে হবে কোনটা কাজে লাগবে।’