এক সঙ্গে তিন ফরম্যাটে খেলা অসম্ভব: সাকিব
২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:০২ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:১৪
সাকিব আল হাসান সাক্ষাৎকার দিলেন আর তাতেই তোলপাড় শুরু সংবাদমাধ্যমে। নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে ছুটি নিয়ে আমেরিকায় বিশ্রাম নিতে বিমান ধরার আগে দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দিয়েছেন সাক্ষাৎকার। ওই সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছেন, একসাথে তিন ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব।
গেল চার বছর ধরে নানান জটিলতার কারণে দেশের হয়ে ১৬টির মতো টেস্ট খেলেননি সাকিব। আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজ যোগ করলে এই সংখ্যা গিয়ে ঠেকবে ১৮-তে। এর আগে ইনজুরি, নিষেধাজ্ঞা আর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ওই সিরিজগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সাকিব। এবারও সেই পারিবারিক কারণ দেখিয়েই নিউজিল্যান্ড সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সাকিব।
টেস্ট থেকে বিভিন্ন সময়ে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কারণে সাকিবকে ঘিরে প্রশ্ন ওঠে, আদৌ কি টেস্ট খেলতে আগ্রহী সাকিব? এবার সে সব নিয়ে বেশ খোলামেলা কথা বলেছেন দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে। সেখানেই নিজের টেস্ট ক্যারিয়ার নিয়ে জানালেন পরিকল্পনা। টেস্ট খেলবেন কিনা সে সব নিয়ে ভাবা শুরু করেছেন সাকিব।
আমেরিকায় পাড়ি জমানোর আগে সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ আমি জানি, কোনটার অগ্রাধিকার দিতে হবে সেটাও জানি। এখন আসলেই এমন সময় এসেছে যে আমি টেস্ট নিয়ে চিন্তা করছি। এটাই হচ্ছে বিষয়। আমি আদৌ আর টেস্ট খেলবো কি না, খেললেও কীভাবে খেলবো।’
কেবল সাদা পোশাক নিয়েই নয়, সাকিব ভাবছেন রঙিন পোশাকের ফরম্যাট দুটি নিয়েও। জানিয়ে দিয়েছেন ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অবসর নিতে পারেন এই ফরম্যাটে থেকেও। আর ওয়ানডে ফরম্যাটের সব ম্যাচেও খেলবেন কিনা তা নিয়েও করছেন পৃথক পরিকল্পনা।
এসব ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘এমনকি ওয়ানডে ফরম্যাটে যেগুলো পয়েন্ট পদ্ধতির বাইরে হয় সেগুলোয় আমার অংশগ্রহণ দরকার আছে কি না। আসলে আমার কাছে আর কোনো পথ নেই। আমি বলছি না যে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াবো। এমনও হতে পারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপের পরে আমি আর টি-টোয়েন্টিই না খেলি। তখন ওয়ানডে আর টেস্ট খেললাম।’
সিদ্ধান্ত যাই হোক, জানুয়ারিতে বোর্ডের পরিকল্পনা দেখেই তা জানা যাবে বলে মনে করছেন সাকিব। তবে সব ফরম্যাটে যে একসঙ্গে আর খেলা চালিয়ে যেতে তিনি পারবেন না সেটার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘একসাথে তিন ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। আপনি যখন ৪০-৪২ দিনের মধ্যে দুইটা টেস্ট খেলেন এটা কোনোভাবেই ফলপ্রসূ হওয়ার মতো বিষয় না।’
বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে পরিকল্পনা সাজাবেন সাকিব সেটাই বলেছেন ওই সাক্ষাৎকারে।
‘স্বাভাবিকভাবেই এটা অনুপ্রাণিত করে বেছে বেছে ম্যাচ খেলার জন্য। যেগুলো নিয়ে বিসিবির সঙ্গে ভালোভাবে একটা পরিকল্পনা করা জরুরি। সেই পরিকল্পনা করেই সামনে আগানো হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এই পরিকল্পনা জানুয়ারির মধ্যে হলেই জানতে পারবো পুরো পরিকল্পনা কী হচ্ছে।’—যোগ করেন সাকিব।
সারাবাংলা/এসএস