মিরপুরে খেলা গড়াতে টাইগার পেসারদের দাপট
৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:২৪ | আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:৩৪
ঘূর্ণিঝড় জোয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলাও মাঠে গড়ায়নি নির্ধারিত সময়ে। এর আগে বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন। কথা ছিল চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হবে সাড়ে ৯টায়। তবে দুই দিন টানা বৃষ্টির পর ভেজা ছিল আউট ফিল্ড তাই তো ম্যাচ মাঠে গড়াল নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পরে। মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান তুলেছে পাকিস্তান ।
দুই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে এসে খেলা মাঠে গড়াল। আর শুরুতে টাইগার পেসারদের দাপট। দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম দিন থেকে অপরাজিত থাকা বাবর এবং আজহারকে ফেরালেন এবাদত ও খালেদ।
খেলা শুরু হতেই কাঙ্ক্ষিত উইকেটের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। আজহার আলীকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন এবাদত হোসেন। দিনের দ্বিতীয় ওভার। এবাদতের একটি শর্ট বলে অনায়াসেই পুল করে চার মারেন আজহার। এক বল পর আরেকটি শর্ট বল করেন এয়াদত। বলে গতি ছিল না খুব একটা, চার হজম করার মতোই আরেকটি ডেলিভারি। কিন্তু বেশি জোরে মারতে গিয়েই হয়তো টাইমিংয়ে গড়বড় করেন আজহার। ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে বল উঠে যায় আকাশে। উইকেটরক্ষক লিটন দাস বল গ্লাভসবন্ধী করেন সহজেই।
এতেই ১৪৪ বলে ৫৬ করে আউট হলেন আজহার। ম্যাচের প্রথম দিনে শুরু হওয়া জুটি চতুর্থ দিনে থামল ১২৩ রানে।
এরপর টিকতে পারলেন না বাবর আজমও। টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪১৮ বল করার পর তৃতীয় টেস্টে এসে প্রথম শিকারের দেখা পেলেন খালেদ। খালেদের বল নিচু হয়ে যাওয়ায় বল মিস করেছেন বাবর। এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করে বদলাতে চেয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। কিন্তু লাভ হয়নি। তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা খালেদের এটি প্রথম টেস্ট উইকেট। আগের তুলনায় এ দিন সকাল থেকে মোটামুটি ভালো বোলিং করছিলেন খালেদ। উইকেট সোজা বল লেংথে পিচ করে একটু স্কিড করে ও নিচু হয়ে যায়। বাবর ফ্লিকের মতো করতে গিয়ে লাইন মিস করেন। বল লাগে প্যাডে। আম্পায়ার আঙুল তুলে দিতে সময় নেননি খুব একটা।
রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না পাকিস্তানের অধিনায়ক।। বরং একটি রিভিউ হারায় পাকিস্তান। ১২৬ বলে ৭৬ রান করে আউট হলেন বাবর আজম। পাকিস্তানের রান ৪ উইকেটে ১৯৭।
এরপর ১২ রানে ফিরতে পারতেন ফাওয়াদ আলম। তবে আপিল না করায় একটি উইকেট পেল না বাংলাদেশ। বেঁচে গেলেন তিনি। এবাদত হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি ঠিকমতো খেলতে পারেননি ফাওয়াদ। ব্যাটের পাশ ঘেঁষে বল যায় কিপারের গ্লাভসে। কিপার, স্লিপ ফিল্ডার, বোলার, সবাই হতাশার মতো ভঙ্গি করেন বল অল্পের জন্য ব্যাটে না লাগায়। কোনো আবেদন হয়নি। একটু পর টিভি রিপ্লেতে আল্ট্রা এজ-এ দেখা যায়, ব্যাটে হালকা লেগেছিল বল। ফাওয়াদ তাই বেঁচে গেলেন ১২ রানে।
এরপর এবাদত হোসেনের অফ স্টাম্প ঘেঁষা ও নিচু হওয়া ডেলিভারি ঠিকমতো খেলতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। উইকেটের পেছনে এক ড্রপে বল যায় কিপারের গ্লাভসে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। রিজওয়ান একটু ভেবে রিভিউ নেন। রিভিউয়ে দেখা যায়, বল হালকা ছুঁয়ে যায় ব্যাটে।
৮০তম ওভারে এসে তাইজুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন রিজওয়ান। তবে আম্পায়ারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে এবারেও টিকে যান রিজওয়ান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
১ম ইনিংস (চতুর্থ দিন)
পাকিস্তান: ২৪২/৪; (আবিদ ৩৯, শফিক ২৫, আজহার ৫৬, বাবর ৭৬, ফাওয়াদ ১৯, রিজওয়ান ২৬); (এবাদত ২০-৩-৭৩-১, খালেদ ১৫-৫-৪০-১, তাইজুল ২১-৬-৫৮-২, সাকিব ১৫-৬-৩৩-০, মেহেদী মিরাজ ১২-২-৩১-০)।
সারাবাংলা/এসএস