‘টপ অর্ডারকে সময় দিতে হবে’
২৮ নভেম্বর ২০২১ ১৮:৩০ | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২১ ২০:২২
চট্টগ্রাম থেকে: বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে দুর্দশা চলছেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্তরা ছিলেন বড্ডই নড়বড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসেরও সেই একই দশা। তরুণদের সঙ্গে মুমিনুল হকও সুবিধা করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ চার উইকেট হারিয়েছিল ৪৯ রান। আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানে চার উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এদিকে দিন শেষে স্পিন বোলিং কোচ সোহেল ইসলাম বললেন, তরুণ টপ অর্ডারকে আরও সময় দিতে হবে।
টপ অর্ডারে বাংলাদেশের হতশ্রী দশা এক দিনের নয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। তবে টপ অর্ডার ছিল চরম ব্যর্থ। তারপর বিশ্বকাপটা কেটেছে ভুলে যাওয়ার মতোই। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর লিটন দাস, সৌম্য সরকারের মতো অনেকদিন জাতীয় দলে খেলা টপ অর্ডার ব্যাটারদের ছেটে ফেলা হয়েছে টি-টোয়েন্টি দল থেকে। কিন্তু টপ অর্ডারের দুর্দশা কাটেনি।
কদিন আগে শেষ হওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও টপ অর্ডারের পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছে-তা। সৌম্য, লিটনদের জায়গায় সুযোগ পাওয়া সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্তরা সাফল্য পাননি। টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচেও একই অবস্থা।
রোববার (২৮ নভেম্বর) টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে স্পিন বোলিং কোচ সোহেল বললেন, টপ অর্ডারকে আরও সময় দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ছেলেরা চেষ্টা করছে। নতুন বলে কিভাবে মানিয়ে নিতে হয় সেটা আয়ত্ব করার চেষ্টা তারা করছে। ব্যাটসম্যানদের জন্য যেসব চ্যালেঞ্জ থাকে সেসব যাতে মোকাবিলা করা যায় সে জন্য কাজ করছে। ব্যাটিং কোচ তাদের নিয়ে কাজ করছে। আমার মনে হয় তারা দিন দিন উন্নতি করছে, চ্যালেঞ্জের জায়গাগুলোতে উন্নতি করছে। তবে এটা আসলে প্রসেবের বিষয়। আজ করলাম আর কাল ফল পেয়ে যাব বিষয়টি এমন নয়। তাদেরকে সময় দিতে হবে।’
টপ অর্ডারের চিরাচরিত ব্যর্থতার মধ্যে স্পিন বিভাগ দুর্দান্ত সফল। আজ বিনা উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা পাকিস্তানকে ২৮৬ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ যাতে স্পিন বিভাগের বড় অবদান। পাকিস্তানের দশ উইকেটের মধ্যে তাইজুল ইসলাম একাই নিয়েছেন সাত উইকেট। একটি উইকেট পেয়েছেন অপর স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। অথচ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচ স্পিনারদের জন্য অতোটা সহায়ক নয়। চট্টগ্রামের পিচ স্পোর্টিং হিসেবেই পরিচিত। সোহেল জানালেন, এমন পিচে স্পিনারদের সাফল্য এক দিনে আসেনি। বহুদিনের পরিকল্পনার ফসল পেয়েছে স্পিন ডিপার্টমেন্ট।
তিনি বলেন, ‘আমরা বহুদিন ধরে পকিল্পনা করছিলাম। তারই সাফল্য পেয়েছি আজ। আমরা যখন মিরপুরের উইকেটে খেলি তখন একটা বিষয় এমন থাকে যে আক্রমণাত্মক বোলিং করব, একটু পর পর উইকেট মিলবে। কিন্তু এসব উইকেটে বা বাইরের (বিদেশে) যে উইকেটে স্পিনারদের জন্য সাহায্য থাকে না সেখানে ভালো করা নিয়ে আমরা (স্পিন বিভাগ) কাজ করেছি। তাতে ছেলেদের মাইন্ডসেট যেভাবে পরিবর্তন হয়েছে সেটা কাজে লেগেছে।’
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। পরে পাকিস্তান ২৮৬ রানে গুটিয়ে গেলে ৪৪ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। আজ তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩৯/৪। যাতে স্বাগতিকদের লিড এখন ৮৩, হাতে উইকেট আছে ৬টি।
চট্টগ্রাম টেস্ট টপ নিউজ তাইজুল ইসলাম বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ সোহেল ইসলাম