ডেড বল বিতর্কে মাহমুদউল্লাহ— আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি
২২ নভেম্বর ২০২১ ১৯:২৭ | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২১ ২০:৫৫
আরেকবার তীরে গিয়ে তরী ডোবার দুঃখ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর পাকিস্তান সিরিজেও সাফল্য পেলো না মাহমুদউল্লাহর দল। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারতে হয়েছে প্রতি ম্যাচই। কিন্তু প্রথম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জয়ের ভালো সম্ভবনা জেগেছিল।
আজ শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিততে শেষ ওভারে ৮ রান লাগত পাকিস্তানের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ওই ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের ভালো সম্ভবনা জাগিয়েছিলেন। শেষ বলে চার হাঁকিয়ে সেই সম্ভবনার মৃত্যু ঘটিয়েছেন মোহাম্মদ নওয়াজ। চার হাঁকানোর আগের বলটি নিয়ে অবশ্য উঠেছে বিতর্ক। মাহমুদউল্লাহর ডেলিভারিটি ডেড বল ডেকেছিলেন ফিল্ড আম্পায়ার। ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ বললেন, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি আমরা।
মাহমুদউল্লাহর করা শেষ প্রথম বলে রান নিতে পারেননি সরফরাজ আহমেদ। দ্বিতীয় বলে হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ হন সরফরাজ। তৃতীয় বলে হাঁকাতে গিয়ে আউট হন হায়দার আলীও। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান ইফতিখার আহমেদ। পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান ইফতিখার। এরপরের ডেলিভারিটি নিয়েই বিতর্ক।
আরও পড়ুন- ম্যাচ জিতল পাকিস্তান, হারেনি বাংলাদেশ
ক্রিজে ছিলেন নতুন ব্যাটার মোহাম্মদ নাওয়াজ। মাহমুদউল্লাহ বল করেন। কিন্তু ডেলিভারির পর ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে যান নওয়াজ, হাত তুলে জানান তিনি অপ্রস্তুত। বল ততক্ষণে ভেঙে দিয়েছে স্টাম্প। গ্যালারিতে তখন দর্শকদের উল্লাস। কিন্তু নওয়াজ বলটি ছেড়ে দেওয়ায় সেটিকে ডেড বল ডাকেন আম্পায়ার। ডেলিভারি ছোঁড়ার পর ব্যাটার ক্রিজ ছেড়েছিলেন বলে ডেড বলের বদলে লিগ্যাল ডেলিভারি কেন দেওয়া হলো না— প্রশ্ন ওঠে সেটি নিয়েই। কারণ বলটি লিগ্যাল ডেলিভারি হলেই ম্যাচ জিতে যেত বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ছুটে গেল বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাছে। অধিনায়ক বলেন, ‘সে (ব্যাটার) অনেক পরে বেরিয়ে গেছে। সে জন্য আমি আম্পায়ারকে জিজ্ঞাসা করছিলাম যে এটি ফেয়ার ডেলিভারি নাকি ডেড বল?’
আম্পায়ার শেষ পর্যন্ত এটিকে ডেড বল হিসেবে ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ রিভিউ নিলে হয়তো এটি নিয়ে থার্ড আম্পায়ারের দ্বারস্থ হতে হতো। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘আম্পায়ার্স কল ইজ ফাইনাল। আমরা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।’
উল্লেখ্য, তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাটিং করে ১২৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। পরে নাটকীয়তার পর শেষ ওভারে জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে সিরিজের তিনটি ম্যাচেই হেরেছে টাইগাররা। এর মধ্যে প্রথম ও শেষ ম্যাচটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও দ্বিতীয় ম্যাচটি পাকিস্তান সহজেই জিতে নিয়েছে।