আবারও দৃষ্টিকটু ক্যাচ মিসের মহড়া
২০ নভেম্বর ২০২১ ১৯:১০ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৩০
‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’ ক্রিকেটে বেশ প্রচলিত একটা কথা এটা। প্রচলিত কথা হলেও এই কথার যে নিদারুন সত্যতাও আছে বাংলাদেশ দলের দিকে তাকালেই সেটা বুঝা যায়। বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলংকার বিপক্ষে হারের কারণ হিসেবে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ মিসের বিষয়কে উল্লেখ করা হয়েছিল। বিশ্বকাপের প্রায় প্রতি ম্যাচেই ক্যাচ মিস করেছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। সেই ধারা অব্যাহত চলতি পাকিস্তান সিরিজেও।
ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ দলের দুর্দশা অবশ্য বহু পুরনো গল্প। গত এপ্রিলের নিউজিল্যান্ড সফর থেকে সেটা আরও প্রকোট হয়েছে। সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশি ফিল্ডারদের হাত গলিয়ে ক্যাচ পড়ছে মুড়ি-মুড়কির তো। বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে ১০-১১টি ক্যাচ মিস করেছেন বাংলাদেশি ফিল্ডাররা।
বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বহু আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে বিদায় করা হয়েছে। অন্তবর্তীকালীন ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেশীও কোচ মিজানুর রহমান বাবুকে। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে দুর্দশা ঘুচল কই!
গতকাল শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য বেশ ভালো ফিল্ডিংই করেছিলেন বাংলাদেশি ফিল্ডাররা। রাত পোহালে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে সেই পুরনো রূপ। আজ সহজ দুটি ক্যাচ ছেড়েছেন তরুণ সাইফ হাসান ও তাসকিন আহমেদ।
আজ পাকিস্তানের ৮ উইকেটের বড় জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ফখর জামানের। অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। কিন্তু যখন রানের জন্য সংগ্রাম করছিলেন তখন তার উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের ১২তম ওভারে আমিবুল ইসলাম বিপ্লবের বলে লোপা ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ফখর। কিন্তু সীমানার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচটি ফেলে দেন সাইফ হাসান।
১৬তম ওভারে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ ছাড়েন তাসকিন আহমেদ। সেই আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলেই ক্যাচ তুলে দেন রিজওয়ান। কিন্তু মিডঅফে সহজ ক্যাচ ধরতে পারেননি তাসকিন। ক্যাচ মিসের এই মহড়া কবে বন্ধ হবে কে জানে!
ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলছিলেন, ‘আসলে আমি জানি না কেন এমন হচ্ছে। ছেলেরা ক্যাচিং নিয়ে পজিটিভ অনুশীলন করছে। অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করছে, সব ঠিকঠাক করছে। কিন্তু তারপরও আমরা ম্যাচে সুযোগগুলো মিস করছি।’